বিপাকে অভিনেত্রী সামান্থা

বিকল্প চিকিৎসাপদ্ধতি গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। কয়েক দিন আগে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ছবি শেয়ার করেন তিনি। ছবিতে তাঁকে দেখা যায়, নেবুলাইজার মাস্ক পরে থেরাপি নিচ্ছেন। ভক্তদেরও পরামর্শ দেন, ‘কমন ভাইরালের জন্য প্রচলিত ওষুধ গ্রহণের আগে বিকল্প পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড এবং ডিস্টিলড বা পরিশুদ্ধ পানির মিশ্রণ দিয়ে নেবুলাইজ করা হতে পারে একটি বিকল্প উপায়। এটি ম্যাজিকের মতো কাজ করে। ওরাল মেডিসিন বা ক্যাপসুল খুব প্রয়োজন না হলে এড়িয়ে চলুন।’ অভিনেত্রীর দাবি, এই চিকিৎসাপদ্ধতি সুলভ ও কার্যকরী।

সামান্থার এই পোস্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সিরিয়াক অ্যাবি ফিলিপস নামের এক চিকিৎসকের দাবি, সামান্থার বাতলে দেওয়া এই পদ্ধতি শরীরে কুপ্রভাব ফেলতে পারে। সামান্থা স্বাস্থ্য বিষয়ে কিছুই জানেন না—এমন দাবি করে ওই চিকিৎসক বলেছেন, এমন ভুলভাল চিকিৎসাপদ্ধতি প্রচার করার অপরাধে সামান্থার শাস্তি হওয়া উচিত। সামাজিক মাধ্যম এক্সে ফিলিপসের এই পোস্টের পর ভারতের আরও কয়েকজন চিকিৎসক সামান্থার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে গতকাল তিন পাতার একটি দীর্ঘ বিবৃতি দিয়েছেন সামান্থা। নিজের বিরূপ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে সামান্থা জানান, গত কয়েক বছরে নানা ধরনের ওষুধ খেতে হচ্ছে তাঁকে। চিকিৎসক যেভাবে বলেছেন, সেভাবেই চলেছেন। এর মধ্যে এমন ওষুধও চিকিৎসকেরা দিয়েছেন তাঁকে, যা বেশ ব্যয়বহুল। কিন্তু কিছুতেই উপকার পাচ্ছিলেন না। বাধ্য হয়ে বিকল্প চিকিৎসাপদ্ধতি নিয়েছেন তিনি। এটিও নিয়েছেন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে।

সামান্থা লিখেছেন, ‘নানা ধরনের চিকিৎসা ও থেরাপি নেওয়ার এই চিকিৎসাপদ্ধতি খুঁজে পাই, যা আমার জন্য খুবই কার্যকরী হয়েছে। প্রচলিত চিকিৎসাপদ্ধতির চেয়ে এর খরচও অনেক কম। কোনো চিকিৎসাপদ্ধতির পরামর্শ দেওয়ার মতো উপযুক্ত লোক আমি নই। একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে নিজে যে চিকিৎসাপদ্ধতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, সেটা অন্যদের জন্য তুলে ধরেছি মাত্র। সেটা করেছি মানুষের উপকারের জন্য।’

ওই চিকিৎসকের বিষয়ে সামান্থা লেখেন, ‘এক ভদ্রলোক খুব কড়া ভাষায় আমাকে আক্রমণ করেছেন। তিনিও একজন চিকিৎসক। তিনি আমার চেয়ে অনেক বেশি জানেন। তাঁর উদ্দেশ্য সৎ, এ নিয়েও আমার কোনো দ্বিধা নেই। কিন্তু এই ধরনের শব্দ তিনি ব্যবহার না করলেও পারতেন। অনলাইনে আমার পেছনে না লেগে আমার চিকিৎসকের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা করতে পারতেন।’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

thirteen + 7 =