বিশ্বকাপ উদ্বোধনী ম্যাচে কাতারকে হারালো ইকুয়েডর

অনেক আলোচনা-সমালোচনাকে সাথে নিয়ে পর্দা উঠলো কাতার ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের। বিশ্বকাপের ২২তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে ইকুয়েডর ২-০ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিক কাতারকে। ইকুয়েডরের পক্ষে ১৬ ও ৩১ মিনিটে দু’টি গোলই করেন ইকুয়েডর অধিনায়ক ও স্ট্রাইকার এনার ভ্যালেন্সিয়া। প্রায় ৬০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে কাতারের আল খোর শহরের আল বাইত স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে গ্রুপ-এ’র ম্যাচে মুখোমুখি হয় স্বাগতিক কাতার ও ইকুয়েডর।

ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই গোল পেয়ে যায় ইকুয়েডর। মাঝ মাঠ থেকে পেনাল্টি বক্সের ভেতর বল পেয়ে ওভার হিট কিকে ভ্যালেন্সিয়াকে যোগান দেন ডিফেন্ডার ফেলিক্স তোরেস। বল পেয়ে হেডের মাধ্যমে  ভ্যালেন্সিয়া গোল করলে  আনন্দে মেতে উঠে ইকুয়েডর সমর্থকরা। কিন্তু ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্স রেফারি (ভিএআর) এর সহায়তায় অফসাইডের কারণে  ইকুয়েডরের গোল বাতিল হয়ে যায়।

১৫ মিনিটে এবারের বিশ্বকাপে প্রথম হলুদ কার্ড প্রদর্শন করেন রেফারি। কাতারের ডি বক্সের ভেতর ভ্যালেন্সিয়াকে ফাউল করেন স্বাগতিক গোলরক্ষক সাদ আলসাহেব। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি, হলুদ কার্ড দেখেন আলসাহেব।পেনাল্টি কিক থেকে এবারের বিশ্বকাপের প্রথম গোলটি করেন ইকুয়েডরের ভ্যালেন্সিয়া। এই গোলে ইকুয়েডরের হয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েন ভ্যালেন্সিয়া। ২২ মিনিটে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে ফাউলের কারনে ম্যাচের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন কাতারের স্ট্রাইকার আল-মৌজ আলী।

কিছুক্ষণ পর ২৯ মিনিটে ইকুয়েডরের হয়ে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন মিডফিল্ডার মোয়েসেস কেইসেডো। তবে এর পরপরই ৩১ মিনিটে ইকুয়েডরকে ডাবল লিড এনে দেন ভ্যালেন্সিয়া। ডি বক্সের মাঝে ডিফেন্ডার এ্যাঞ্জেলো পেরেসিয়াডোর ক্রস থেকে  বল পেয়ে দারুণ হেডে দ্বিতীয়বারের মত কাতারের জালে বল জড়ান ভ্যালেন্সিয়া।

এই গোলে দলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দিয়ে রেকর্ড বইয়ে নিজের নাম লিখেন ভ্যালেন্সিয়া। বিশ্বকাপ ইতিহাসে দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে উদ্বোধনী ম্যাচে জোড়া গোল করলেন ভ্যালেন্সিয়া। ১৯৩৪ সালে ইতালিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন ইতালির এঞ্জেলো শিয়াভিও। ম্যাচে ৭-১ গোলে জিতেছিলো ইতালি।

ভ্যালেন্সিয়ার জোড়া গোলে ২-০ গোলে এগিয়ে ম্যাচে ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ করে ইকুয়েডর। প্রথমার্ধে মাত্র প্রতিপক্ষের  গোল পোস্টে  ২টি শট নিতে পারে কাতার। ৭টি শট নেয়  ইকুয়েডর। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে থেকে মধ্যমাঠের দখল নেয় কাতার। বল আয়ত্বে রাখার চেষ্টার মধ্যেই ৫৫ মিনিটে বা-দিকের বক্স থেকে কাতারের ডিফেন্ডার পেড্রো মিগুয়েলের শট রুখে নেন ইকুয়েডরের গোলরক্ষক হারনান গালিনদেজ।

৬২ মিনিটে মিগুয়েলের  হেড ইকুয়েডরের গোলবার ঘেষে যায়। কাতার গোলের জন্য মরিয়া থাকলেও এমন অবস্থায়  রক্ষণাত্মক ভূমিকা নেয় ইকুয়েডর। ম্যাচের শেষ ১০ মিনিটে কোন দলই  আক্রমণ থেকে  বিরত থাকে। শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধের দুই গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইকুয়েডর।

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

ten − three =