বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে চলচ্চিত্র নিয়ে পড়ানো হচ্ছে, এটি চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনেরই ধারাবাহিক প্রয়াস ও প্রচেষ্টার ফল। ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে সে কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন বক্তারা। পাশাপাশি স্মরণ করেন এই আন্দোলনের অগ্রপথিকদের।
গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে একত্রিত হয়েছিলেন দেশের চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের সাবেক ও বর্তমান নেতারা। বিগত পঞ্চাশ বছরের স্মৃতিচারণা, আলোচনা, দেশের চলচ্চিত্র সংস্কৃতিতে চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের অবদান এবং আগামী দিনের করণীয় নিয়ে প্রাণবন্ত এক আলাপে মেতে ওঠেন তারা।
আলোচনায় বক্তারা জানান, ১৯৭৩ সালের ২৪ অক্টোবর দেশের সক্রিয় চলচ্চিত্র সংসদসমূহ সম্মিলিতভাবে ঢাকায় ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ গঠন করেছিল। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যাবধি ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ চলচ্চিত্রকর্মীদের চলচ্চিত্রবোধ বিকাশের পাশাপাশি শিক্ষার ধারণা প্রতিষ্ঠা ও দেশে চলচ্চিত্র শিক্ষা বিস্তারে, চলচ্চিত্র সাহিত্য সৃষ্টি ও সাহিত্য বিকাশে দেশের চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনকে নেতৃত্ব প্রদান করে চলেছে। এ ছাড়া দেশের চলচ্চিত্র সংসদসমূহের দাবি ও ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজের সক্রিয়তায় দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট। ফেডারেশনের দাবির প্রেক্ষিতেই দেশে প্রবর্তিত হয়েছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও চলচ্চিত্র অনুদান।
এ আয়োজনে স্মরণ করা হয় ফেডারেশনের নেতৃত্ব দেওয়া প্রয়াত চলচ্চিত্রাচার্য আলমগীর কবির, জাতীয় অধ্যাপক কবির চৌধুরী, চলচ্চিত্রকার বাদল রহমান, সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাহবুব জামিল, চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা মুহম্মদ খসরু এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুশীল সূত্রধরকে। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয় ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম, চলচ্চিত্রকার মানজারে হাসিন মুরাদকে।
স্থপতি লাইলুন নাহার স্বেমির সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন অগ্রজ চলচ্চিত্রকার মসিহউদ্দিন শাকের, চলচ্চিত্র সংসদকর্মী হামেশ সূফী। সঞ্চালনা করেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বেলায়াত হোসেন মামুন।