বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ: দ্বিতীয় দিন শেষে জয়ের সম্ভাবনায় অস্ট্রেলিয়া

ক্রিকেট মক্কা লর্ডস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠানরত আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে প্রথম দুই দিনে ১৪+১৪= ২৮ উইকেটের পতন ঘটেছে। অস্ট্রেলিয়ার করা ২১২ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ১৩৮ রানে গুটিয়ে গাছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ইনিংসেও প্রোটিয়ান বোলিং দাপটে ১৪৮ করতেই ৮ উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তবুও প্রথম ইনিংসে ৭৪ রানে এগিয়ে থাকার সুবাদে ২১৮ রানে আগুয়ান অস্ট্রেলিয়া। দুই উইকেট হাতে থাকায় আরো কিছু রান যোগ হতে পারে। কিন্তু উইকেটের বর্তমান অবস্থা এবং অস্ট্রেলিয়ার দুধর্ষ বোলিং বিচারে ম্যাচটি অস্ট্রেলিয়ার দিকে ঝুকে পড়েছে বলা যেতেই পারে। তবে যেহেতু খেলাটির নাম ক্রিকেট তাই আজ তৃতীয় দিনে ঐতিহাসিক কিছু ঘটে কিনা দেখতে মুখিয়ে থাকবে ক্রিকেট বিশ্ব। চ্যাম্পিয়ন হতে হলে শুধু নিজেদের সেরা নয় বিশ্ব ক্রিকেটেও নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করতে হবে প্রোটিয়ান্সদের।

কাল দ্বিতীয় দিন সকালে ১৬৯ রান পিছিয়ে থেকে ৪৩/৪ শুরু করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। উইকেটে ছিল অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা আর ডেভিড বেডিংহাম। ৫ম উইকেট পার্টনারশিপে যোগ হলো ৬৪ রান। আশা জেগেছিলো হয়ত দক্ষিণ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের কাছে পৌঁছাবে। কিন্তু উপযোগী উইকেটে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক পাট কামিন্সের দুর্দান্ত বোলিং তোপে ৪৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রানে গুটিয়ে গেলো প্রোটিয়া বাহিনী। ২৮/৬ উইকেট নিয়ে কামিন্স লর্ডসে কোনো অধিনায়কের সেরা বোলিং কৃতিত্ব অর্জনের পাশাপাশি টেস্টে ৩০০ উইকেট অর্জন করলো। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম ইনিংসে ৭৪ রানে এগিয়ে থাকায় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে থাকলো অস্ট্রেলিয়া।

দক্ষিণ আফ্রিকা কিন্তু দমে যায়নি। দেয়ালে পিঠ রেখে রাবাদা (৩/৪৪) আর এনজিডির (৩/৩৫) পেস বোলিং নৈপুণ্যে দারুন ভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। হকচকিত অস্ট্রেলিয়া একসময় ৭৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বিপদে ছিল। সেখান থেকে আলেক্স কারী (৪৩) মিচেল স্টার্ক (১৮) সঙ্গী করে ৮ম উইকেট জুটিতে ৬১ রান যোগ করে স্বস্তি এনে দেয়। দিন শেষে ১৪৮/৮ করে ২১৮ রানে এগিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া। খেলার ধারা থেকে অনুমান করা যায় আজ তৃতীয় দিনে হয়ত অস্ট্রেলিয়া জিতে নিবে চ্যাম্পিয়নশিপ। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার সম্ভাবনাকে শুন্য বলা সমীচীন হবেনা। যাই হোক জিততে হলে কয়েকটি নতুন মাইল ফলক স্থাপন করতে হবে প্রোটিয়ানদের। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন হবে দুটি লম্বা পার্টনারশিপ এবং নতুন বলে স্টার্ক, কামিন্স, হেজেলউড ঝড় সামাল দেয়া।

৫ দিনের টেস্ট ফাইনাল ৩ দিনে শেষ হলে টেস্ট ক্রিকেটের উপর সংক্ষিপ্ত ভার্সন ক্রিকেটের প্রভাব প্রমাণিত হয়ে যাবে আবারো।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

17 − 4 =