বিয়ে করলেন অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী

যাট বছর বয়সে এসে আবার বিয়ে করলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী। ২৫ মে অসমের রূপালি বড়ুয়ার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন তিনি। কলকাতার ফ্যাশন জগতের সঙ্গে যুক্ত রূপালি।

প্রেমে নাকি বয়সের হিসাব রাখতে নেই। আর সেই প্রেম যদি পরিণতি পায় বিয়েতে, তা হলে তো তার জেল্লাই আলাদা। শুনতে খুবই সিনেম্যাটিক হলেও বাস্তবে তার প্রমাণ রাখলেন বলিউড অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী।

কলকাতার একটি ক্লাবেই সম্পন্ন হল তাদের শুভ পরিণয়।জন্মসূত্রে অসমের গুয়াহাটির বাসিন্দা হলেও পেশার টানে এখন কলকাতাবাসী রূপালি। কলকাতার ফ্যাশন জগতের সঙ্গে যুক্ত তিনি। ২৫ মে কলকাতাতেই ব্যক্তিগত পরিসরে সই-সাবুদ করে আশিস বিদ্যার্থীর সঙ্গে বিয়ে সারলেন রূপালি।

বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য সাদা ও সোনালি শাড়িতে সেজেছিলেন রূপালি, পরনে ছিল ছিমছাম গয়না ও হালকা রূপটান। অন্য দিকে আশিসের পরনে ছিল ঘিয়ে রঙের পঞ্জাবি। আইনি মতে বিয়ে সারার পর সন্ধেবেলায় ছোট একটি অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। পরিবার-পরিজন ও কাছের বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গেই নিজেদের জীবনের এই বিশেষ দিনটি উদ্‌যাপন করতে চান আশিস ও রূপালি।

আশিস জানান, জীবনের এই পর্যায়ে এসে রূপালিকে পাশে পেয়ে তিনি অভিভূত। জীবনের এই আনন্দের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গেই নিজের বিয়ে উদ্‌যাপন করার সিদ্ধান্ত নেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা।

কী ভাবে রূপালির প্রেমে পড়লেন অভিনেতা? প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আশিস জানান, সে নাকি এক লম্বা গল্প। অন্য দিকে, পর্দায় বেশির ভাগ খলচরিত্রে অভিনয় দেখেও আশিসকে মানুষ হিসাবে চিনতে ভুল করেননি রূপালি। আশিসের মানবিকতাই তাকে আকৃষ্ট করেছিল অভিনেতার প্রতি, জানান রূপালি বড়ুয়া।

১৯৮৬ সালে অভিনয় শুরু করেন আশীষ বিদ্যার্থী। গত চার দশকে ৩০০-র বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। কাজ করেছেন ১১টি ভারতীয় ভাষার ছবিতে। ‘দ্রোহকাল’ ছবির জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। এর আগে শকুন্তলা বড়ুয়ার মেয়ে রাজশী বড়ুয়ার সঙ্গে সংসার করেছেন আশিস বিদ্যার্থী। তাদের এক সন্তানও রয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

ten − one =