প্রথমে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শান্ত – মুশফিকের ২৬৪ তারপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে মুশফিক -লিটনের ১৪৯ কল্যাণে গল টেস্টে বৃষ্টি বিঘ্নিত দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের ৪৮৪ /৯ ভক্ত সমর্থকদের ১০০% খুশি না করলেও রানের বিচারে সন্তোষজনক। হয়ত বৃষ্টি মুশফিক -লিটনের ব্যাটিং ছন্দে বিঘ্ন না ঘটালে ইনিংসটার চরিত্র ভিন্ন হতেও পারতো। আড়াই ঘন্টা বৃষ্টি শেষে খেলা শুরু হলে উইকেটের চরিত্র কিছুটা পাল্টে যায়। মুশফিক লিটনের মনোসংযোগ ব্যাহত হয় জুটিতে ১৪৯ রান করা মুশফিক, লিটন ছন্দ হারিয়ে পর পর বিদায় নিলে তাসের ঘরের মত ঝরে পরে বাংলাদেশ। ৪৫৮-৪৮৪ মাত্র ২৬ রানে ৫ টি উইকেটের পতন ঘটলে দিনশেষে বাংলাদেশ পৌঁছায় ৪৮৪/৯। শান্ত দিনের শুরুতেই ১৪৮ রান করে ফিরে যাবার পর লিটন -মুশফিক দাপুটে ব্যাটিং করে শ্রীলংকাকে হতাশ করে ফেলেন। বৃষ্টি এসে বাধা হয়ে না দাঁড়ালে হয়তো এই ইনিংসে বর্ননা অন্য ভাবে লেখা হত। মুশফিক এরই মাঝে ১৫০ পেরিয়ে যায়। এই মাঠেই মুশফিকের ২০০ রানের ইতিহাস আছে। দুই একবার সুযোগ পেয়ে অর্ধশত করে ফেলে। বৃষ্টির আগে যেভাবে বাংলাদেশ খেলছিল অনেকেই ভেবে ছিল দিনশেষে বাংলাদেশের রান হয়তো ৫০০ পেরিয়ে এগিয়ে যাবে।
বৃষ্টিতে দুই ঘন্টার বেশি সময় শেষ হবার পর খেলা শুরু হলে বাংলাদেশ বাটিংয়ে ছন্দপতন ঘটে। ৩৫০ বলে ১৬৩ করা মুশফিক ফের্নান্দোর বলে এলবিডব্লু হলে আরো একটি ডাবল সেঞ্চুরি সুযোগ হারান। কিন্তু দুঃখের বিষয় এর পর পরেই ৯০ রান করা লিটন এই টেস্টে অভিষিক্ত রাত্নায়েকের বলে অকারণ রিভার্স সুইপ করার চেষ্টায় উইকেট বিলিয়ে দেয়। দুই সেট ব্যাটসম্যানকে হারানোর পর বাংলাদেশ ইনিংস ভেঙে পড়ে। নিজেদের ফিরে পাওয়া স্বাগতিকরা ম্যাচে ফিরেছে বলবো না দিনশেষে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে বলা যায়।
বাংলাদেশ ইনিংসের হাইলাইট অবশ্যই ক্রিকেট জীবনের বালুকাবেলায় মুশফিকের ১৬৩ রান, শান্তর ১৪৮ রানের দারুন প্রত্যাবর্তন এবং লিটনের ঝলমলে ৯০ রান। প্রথম ইনিংসে ৫০০ র কাছাকাছি রান অবশ্যই বাংলাদেশকে গল টেস্টে চালকের ভূমিকায় বসিয়েছে। আজ তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের বোলিং ফিল্ডিং পরিকল্পনা মোট হলে স্বাগতিক শ্রীলংকাকে সংগ্রাম করতে হতে পারে ম্যাচ বাঁচাতে। দেখতে হবে গল উইকেট চরিত্র পাল্টে যায় কিনা। অন্তত বাংলাদেশ এই টেস্ট পরাজিত হবে না নিশ্চিত করেই বলা যেতে পারে। বৃষ্টি বাধা না দিলে টেস্টে সিদ্ধান্ত হবে এবং সেটি হয়তো বাংলাদেশের অনুকূলে। এই টেস্টে বাংলাদেশ মেহেদী মিরাজকে মিস করবে দারুণভাবে।