সালেক সুফী
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ঢাকা সহ সারাদেশে ঝরেছে অঝর ধারায় বর্ষণ। তারই মাঝে গতকাল শুরু হয় মীরপুর শের এ বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-নিউ জিল্যান্ড তিন ম্যাচ। ওডিআই সিরিজের বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম ম্যাচটি খেলা সম্ভব হয়েছে মাত্র ৩৩.৪ ওভার। টস হেরে সফরকারী দল বাংলাদেশের তুখোড় পেস এবং স্পিন আক্রমণের মোকাবিলায় ১৩৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল।
বৃষ্টি খেলাটি পণ্ড করে দিলে অনেক দিন পর এসে তামিম ইকবাল এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ব্যাটিং অনুশীলন করার সুযোগ পেল না। বাংলাদেশ সুযোগ হারালো ওদের দুইজন সহ কয়েকজন প্রান্তিক খেলোয়াড়কে যাচাই করে দেখার। নিম্নচাপের প্রভাব এখনো কাটেনি। আজ হবে দ্বিতীয় ম্যাচ। সেখানেও বৃষ্টি বাগড়া দেওয়ার সমূহ সম্ভাবনা।
সবাই জানে কয়েক সপ্তাহ পরে ভারতে শুরু হয় বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দুটি দল বিশ্বকাপ স্কোয়াডের বেশ কিছু খেলোয়াড়কে বিশ্রামে রেখেছে। বাংলাদেশের সুযোগ আছে বিশ্বকাপের আগে তামিম, রিয়াদ সহ কয়েকজনকে যাচাই করার। ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্কোয়াড ঘোষণা করতে হবে।
সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপে বাংলাদেশের মিশ্র সাফল্যের পর টপ অর্ডার এবং লেট্ মিডল অর্ডারে কিছু সংযোজন প্রয়োজন। একই ভাবে নিউ জিল্যান্ড বিশ্বকাপ স্কোয়াডের বোলারদের সহ কয়েকজন প্রান্তিক খেলোয়াড়দের দক্ষিণ এশিয়ার পরিবেশ এবং উইকেটের সঙ্গে ধাতস্ত করতে চেয়েছে।
বৃষ্টি সম্ভাবনা মাথায় রেখে টস জয় করে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ। উইকেট ছিল ধীর গতির, গ্রিপ এবং টার্ন করছিল। আকাশেও ছিল মেঘের ঘনঘটা। মুস্তাফিজ এবং নবীন পেসার তানজিম সাকিব উইকেট এবং পরিবেশ কাজে লাগিয়ে চেপে ধরেছিলো কিউইদের। মুস্তাফিজ শুরুতেই ফিরিয়ে দিয়েছিলো ফিন আলেন এবং চাদ বয়েসকে।
১৬ রানে ২ উইকেট পতনের পর সংগ্রাম করে উইল ইয়ং (৫৮) এবং হেনরি নিকোলস (৪৪) তৃতীয় উইকেটে ৯৭ রানের জুটি গড়ে তোলে। মুস্তাফিজ ফিরে এসে হেনরি নিকোলাসকে ফেরায়। ভালো বোলিং করতে থাকা নাসুম আহমেদ পর পর উইল ইয়ং (৫৮) এবং রাচীন রবিন্দ্র (০) ফেরালে ১৩৬/৫ কোণঠাসা হয়ে পরে কিউই পাখির ঝাঁক। আকাশ ভেঙে নাম বৃষ্টি খেলা পণ্ড এবং পরিত্যাক্ত। বাকি দুটি ম্যাচে বাংলাদেশকে ব্যাটিং করার সুযোগ নিতেই হবে।
সালেক সুফী: আন্তর্জাতিক ক্রীড়া বিশ্লেষক