রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের চীনে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শুরু হয়েছে। তিনি বৃহস্পতিবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে এসে পৌঁছেছেন। মার্চের নির্বাচনে পুনরায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই পুতিনের প্রথম বিদেশ সফর। রুশ টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে, পুতিন বেইজিংয়ে এসে পৌঁছানোর পর চীনা কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান এবং গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
পুতিন সফরকালে বৃহস্পতিবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে করবেন। এ সময়ে পুতিন ইউক্রেনে তার যুদ্ধ প্রচেষ্টা এবং দেশের বিচ্ছিন্ন অর্থনীতির জন্যে ব্যাপক সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা করবেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এছাড়া উভয়ে দুই দেশের সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন করবেন।
বেইজিং সফরের প্রাক্কালে চীনের সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন ইউক্রেন সংকট মোকাবেলায় বেইজিংয়ের প্রকৃত ইচ্ছার প্রশংসা করেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে চীনের পরিকল্পনায় তাঁর সমর্থন রয়েছে। কারণ, ইউক্রেন সংকটের পেছনের কারণগুলো সম্পর্কে বেইজিংয়ের পূর্ণ ধারণা আছে।
এদিকে চলতি সপ্তাহে ক্রেমলিন থেকে বলা হয়েছে, দু’নেতা তাদের ব্যাপক অংশীদারিত্ব এবং কৌশলগত সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবেন। এছাড়া চীনা-রুশ সহযোগিতা উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রসমূহ নির্ধারণ করবেন। একইসঙ্গে উভয়ে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়সমূহ নিয়ে মতবিনিময় করবেন।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়াকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন শি জিন পিং। এ পরিস্থিতিতে চীন-রাশিয়ার দুই নেতার বৈঠকের দিকে তীক্ষè নজর রাখছে পশ্চিমা বিশ্ব।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন গত মাসে বেইজিংয়ে শি’র সাথে সাক্ষাত করেন। তিনি ইউক্রেনের রাশিয়ার বর্বর আগ্রাসনে চীনের সমর্থনের বিষয়ে সতর্ক করেন। এদিকে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং বৃহস্পতিবার দিনের শেষভাগে পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন।
আগামীকাল শুক্রবার চীনের ঐতিহাসিক শহর হারবিনে দু’টি দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে পুতিনের। সেই সঙ্গে সেখানে একটি বরফ উৎসবেও যোগ দেয়ার কথা রয়েছে পুতিনের।
বাসস