বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নেপালগামী একটি উড়োজাহাজ ভেতরে ‘বোমা’ থাকার উড়ো খবরে উড্ডয়নের ঠিক আগ মুহূর্তে থামানো হয়েছে। খবর বিডিনিউজ।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকালে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওই ঘটনার পর বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটিতে বোমার খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়, তবে কিছু পাওয়া যায়নি।
বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এ বি এম রওশন কবীর বলেন, ফ্লাইটটির পৌনে ৫টায় ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। সে অনুযায়ী যাত্রী উঠিয়ে উড়োজাহাজটি ট্যাক্সি (রানওয়ের পথে যাত্রা) করছিল।
“উড্ডয়নের আগ মুহূর্তে কন্ট্রোল টাওয়ারে একটি বেনামি ফোন আসে। বলা হয়, ফ্লাইটে একটি বোমা ওঠানো হয়েছে। এরপর দ্রুত উড়োজাহাজটির উড্ডয়ন বাতিল করা হয়।”
তিনি বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সবার আগে তাদের উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে লাউঞ্জে স্থানান্তর করা হয়। বিমান বন্দরের বম ডিসপোজাল ইউনিট দ্রুত সেখানে গিয়ে তল্লাশি শুরু করে।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম রাগীব সামাদ সন্ধ্যায় বলেন, “বিকাল ৪টা ২৬ মিনিটে একটি অজ্ঞাত ফোনকলের মাধ্যমে বিমানের বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাঠমান্ডুগামী বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটিতে বোমা থাকার আশঙ্কার কথা জানানো হয়। উড়োজাহাজটি তখন ১৪২ জন যাত্রী এবং ৭ জন ক্রু নিয়ে ট্যাক্সি করছিল।
“পরে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ফাস্ট রেসপনডার হিসাবে বিমান বাহিনীর টাস্ক ফোর্স ও এভসেক দ্রুত বিমানের চারপাশে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ও এপিবিএন-এর ডগ স্কোয়াড ঘটনাস্থলে আসে।”
র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলও পরে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে উড়োজাহাজের ভেতরে ও লাগেজ কম্পার্টমেন্ট পরীক্ষা করে বলে জানান তিনি।
তল্লাশি শেষে রাত পৌনে ৮টার দিকে বিমানের মহাব্যবস্থাপক রওশন কবীর বলেন, “বিমানে কোনো বোমা বা এ ধরনের কিছুই পাওয়া যায়নি। এটি ছিলো ফেইক কল। এখন যাত্রীদের বোর্ডিং করানো হচ্ছে (বিমানে তোলা হচ্ছে), শেষ হলেই কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে ফ্লাইট ছেড়ে যাবে।”