আসন্ন দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে বরিশালে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রতিমা তৈরির মৃৎ শিল্প কারিগররা।সনাতন ধর্মালম্বীদের বাৎসরিক এ দুর্গোৎসবকে প্রাণবন্ত ও পরিপূর্ণভাবে উপস্থাপন করতে জেলা ও মহানগর-এর প্রতিটি মন্দিরে চলছে দিনরাত ব্যাপক প্রস্তুতি।
রাজবাড়ী থেকে আসা মৃতশিল্পী নিতাই পাল ও নিমাই পাল জানান, আগামী মাসের ১১ অক্টোবর ষষ্টী পূজার মাধ্যমে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। এরপূর্বে ৬ অক্টোবর শুভ-মহালয়া। খড়কুটা,পাটসুতা, বাঁশ ও মাটি দিয়ে কাঠামো তৈরির মধ্যে দিয়েই প্রথম প্রকাশ হয় শিল্পীর প্রতিমা তৈরির দক্ষতা ও শিল্পীত রূপ। দুর্গোৎসবের বাকি মাত্র ১৩ দিন। এখন প্রতিমার দো-মাটির কাজ চলছে। সঠিক সময়ে প্রতিমা তৈরি করে সরবারহের জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা।
নিতাই পাল ও নিমাই পাল আরো জানান, চলতি বছর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাক্তিগত ও সবার মিলিয়ে সর্বোমোট ২৮ টি দূর্গা প্রতিমা তৈরি করবেন তারা। সব থেকে ব্যায়বহুল প্রতিমা তৈরি করবেন নগরীর সদর রোড জগন্নাথ দেবের মন্দির ও ফলপট্টি কালী মন্দির। বিভিন্ন ডিজাইন ও কারুকাজ বসিয়ে প্রতিমা তৈরি করতে সময় লাগে দেড় মাস। বর্তমানে সহকারী কারিগরদের নিয়ে ৬টি ভাগে ভাগ হয়ে কাজ করছি। এ টিমগুলোকে প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করি আমরা দু’জন।
অপরদিকে রাজধানী ঢাকা থেকে আগত মৃতশিল্প কারিগর বলাই পাল জানান, দীর্ঘ ১শ বছরেরও বেশি সময় ধরে বংশ পরমপরা এ ব্যবসা বা শিল্প-এর সাথে জড়িত আমার পরিবার। দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবারের সদস্যরা প্রতিমা তৈরি করে থাকেন। বছরের বেশির ভাগ সময় প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করি। এ বছর বরিশাল নগরীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে মোট ১৮টি দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজ করছি। যথাসময়ে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করতে রাত-দিন কাজ করে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
বাসস