জীবনযাত্রা, হরমোন, দূষণ এমনকি বংশগতি ইত্যাদি নানান কারণে দেহের বিভিন্ন অংশে ব্রণ দেখা দিতে পারে।শুধু মুখে নয়, দেহেও ব্রণ হয়। আর এই ব্রণ কমাতে পারে রেটিনল সমৃদ্ধ প্রসাধনী।
মুখের ব্রণের মতোই দেহে রেটিনল সমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহার ব্রণ কমাতে সহায়তা করে।“রেটিনয়েডস’ প্রকৃতপক্ষে একটি কার্যকর সমাধান। তবে একমাত্র সমাধান নয়।” বলেন ডা. রেড্ডি।
স্যালিসিলিক অ্যাসিড, বেনজয়েল পারক্সাইড, ক্লিনডামাইসিনের মতো অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে রেটিনল মিশে খুব ভালো কাজ করে।তাই বলা যায়, সাময়িক ব্যবহারের মাধ্যমে রেটিনল-ভিত্তিক পণ্যগুলি শরীরের ব্রণ পরিষ্কার করতে সাহায্য করতে পারে।
রেটিনল দেহের ত্বক এক্সফলিয়েট করে মৃত কোষ দূর করে। আর বাড়তি তেলের উৎপাদন কমায়। ফলে লোমকূপ উন্মুক্ত হয়।এটা কেবল ত্বকের লোমকুপ পরিষ্কার করতেই সাহায্য করে না বরং ত্বকে ব্যবহৃত পণ্য কাজ করতেও সহায়তা করে বলে জানান ডা, রেড্ডি।
তিনি আরও ব্যাখ্যা করে বলেন, “রেটিনল পিগমেন্টেইশন এবং দাগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। অর্থাৎ ব্রণের কারণে হওয়া দাগ রেটিনল ব্যবহারের মাধ্যমে দূর করা সম্ভব।”
রেটিনয়েড সক্রিয় ও শক্তিশালী উপাদান। তাই এর ব্যবহার শুরু করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।সঠিকভাবে ব্যবহার করা না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে জানান এই চিকিৎসক
ব্যাঙ্গালুরু’র ‘ডিএনএ স্কিন ক্লিনিক অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার’য়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা, প্রিয়াঙ্কা রেড্ডি বলেন, “দেহে ব্রণ মূলত পিঠ, কাঁধ ও নিতম্বে হয়ে থাকে।”
সাধারণত দেহে বাড়তি তেল, আবদ্ধ লোমকূপ ইত্যাদি কারণে ব্রণ দেখা দেয়। এছাড়াও বংশগতি, হরমোনের সমস্যা, ‘কর্টিকোস্টেরোয়েড’ ধরনের ওষুধ গ্রহণ, ওয়াক্স করা, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি নানান কারণে দেহে ব্রণ হতে পারে বলে ব্যাখ্যা করেন ডা রেড্ডি।
ফেমিনা ডটইন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “তেল গ্রন্থির কারণে অতিরিক্ত ব্রণ দেখা দিতে পারে। ত্বকে জমে থাকা মৃত কোষ ব্রণের কারণ। যদিও দেহে ব্রণ হওয়ার নির্দিষ্ট কোণ বয়সসীমা নেই। তবে জিনগত কারণে হওয়া ব্রণ সাধারণত ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে তীব্রভাবে দেখা দেয়।”।
বিডিনিউজ