সালেক সুফী
যোগ্যতর দল হিসাবেই ভারতকে এসসিজি টেস্ট ৬ উইকেটে জিতে ৩-১ ম্যাচে হারিয়ে ১০ বছর পর বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ জিতে নিয়েছে। একই সঙ্গে এই জয় আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল খেলা নিশ্চিত করেছে। অধিনায়ক পাট কামিন্স এই জয়ে বিশ্বকাপ, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি জয় করলো।
৩১ বছর বয়সে টেস্ট ম্যাচ অভিষিক্ত তাসমানিয়ার বিউ ওয়েবস্টার চৌকষ পারফরমেন্স দিয়ে অভিষেক স্মরণীয় করেছে। ভারতের প্রথম ইনিংসের ১৮৫ রানের জবাবে ১৮১ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে স্কট বোলান্ড (৬/৪৫) এবং পাট কামিন্সের (৩/৪৪) ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস ১৫৭ রানে গুটিয়ে দেয়।
ভারতের মূল বোলিং অস্ত্র বিশ্বসেরা পেসার জাসপ্রিত বুমরা আহত হয়ে বোলিং করতে পারেনি। মাত্র ২৭ ওভারে প্রয়োজনীয় ১৬২/৪ তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া টেস্ট এবং সিরিজ জয় করে।
সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ শেষ ম্যাচে টস জিতে ঘাসে ঢাকা বাউন্সি উইকেটে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা নিজেকে সরিয়ে নেওয়া সঠিক না বেঠিক হয়েছে সেটি নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে। কিন্তু সিরিজ জুড়ে ভারতের ব্যাটিং ধারাবাহিক ছিল না। অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী বোলিংয়ের সামনে দল হিসাবে ভালো ব্যাটিং করেনি।
সিডনি টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১৮৫ রান করে ভালো বোলিং করে অস্ট্রেলিয়াকে ১৮১ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে আবারো অস্ট্রেলিয়ার বোলিং মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে ভারত মাত্র ১৫৭ রান করলে বুমরাবিহীন ভারত বোলিংয়ের বিরুদ্ধে অনায়েসে টেস্ট জিতে নেয়।
সিরিজের ফলাফল ৩-১ দেখে হয়ত ভুল ধারণা হতে পারে। পার্থ টেস্ট জিতে ভারত জয়ী হবার পর এডিলেড, ব্রিসবেন, মেলবোর্ন, সিডনিতে উপভোগ্য টেস্ট ম্যাচগুলো বিপুল সংখক দর্শক ব্যাট বলের লড়াই দারুন উপভোগ করে। নববর্ষে সিডনি পিঙ্ক টেস্টের তৃতীয় দিন ব্রেস্ট ক্যান্সার ফাউন্ডেশনের জন্য রঙিন হয়ে ওঠে।
এই বিশেষ দিনে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ জয় দিনটি অস্ট্রেলিয়ার সিরিজের জন্য স্মরণীয় করে তোলে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তরুণ স্যাম কন্সটাস এবং বিউ ওয়েবস্টারের স্মরণীয় অভিষেক ঘটে। স্কট বল্যান্ডের জন্য সিরিজটি স্মরণীয়। সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে জাসপ্রিত বুমরা নিজেকে সেরা বোলার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে।
ভারত দেশে নিউ জিল্যান্ডের কাছে ৩-০ ধবল ধোলাইয়ের পর অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩-১ সিরিজ হেরে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলা থেকে বঞ্চিত হলো। ভারতকে অবশ্যই টিম কম্পোজিশন এবং কৌশল নিয়ে ভাবতে হবে। তবে বলতেই হবে দলের তরুণরা সিরিজ থেকে অনেক কিছু শিক্ষা নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়াকেও ব্যাটিং নিয়ে ভাবতে হবে।