এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিধ্বস্তের ঘটনাটি ভারতের অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি। এই বিমানটিতে ২৪২ আরোহী ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছু সময় পর দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এতে ২৪১ জনের প্রাণহানি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, একজন যাত্রী আশ্চর্যজনকভাবে দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছেন এবং বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জি.এস. মালিক জানান, একমাত্র জীবিত ব্যক্তি ১১এ সিটে বসেছিলেন এবং বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি বার্তা সংস্থা এএনআই-কে জানান, ‘একজন জীবিত ব্যক্তিকে পাওয়া গেছে এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমরা এখনও মৃত্যুর চূড়ান্ত সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারছি না, কারণ উদ্ধারকাজ এখনও চলমান।’
আহমেদাবাদের পুলিশ প্রধান বরাতে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে ২০৪টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এটি নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি যে, এই ২০৪ জনের সবাই বিমানটির যাত্রী ছিল, নাকি দুর্ঘটনাস্থলে কিছু মানুষ নিহত হয়েছেন।
দুর্ভাগ্যজনক ফ্লাইট ১৭১ লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে ২৩০ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু সদস্য ও দুইজন পাইলটসহ যাত্রা শুরু করেছিল, যার মধ্যে ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক এবং ১১ জন শিশু ছিলেন।
বিমানটি শহরের বাইরের একটি আবাসিক ভবনে বিধ্বস্ত হয়ে পড়লে আগুন ধরে যায়। এর ফলে ঘন ধোঁয়া আকাশে উঠতে থাকে, যা এই ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে জানায়, বিমানটি একটি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে বিধ্বস্ত হয় এবং সেখানে থাকা মেডিকেলের ৫ শিক্ষার্থী নিহত হন।
দুর্ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ ছাত্রাবাসের ডাইনিং এরিয়ায় আটকে রয়েছে, যেখানে কিছু প্লেটে অস্পৃশ্য খাবারও দেখা যাচ্ছে।