ভুট্টাক্ষেতে মেসির প্রতিকৃতি

ফুটবল বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে ভক্তরা মেসিকে নিয়ে কত রকম পাগলামিই না করেছেন ও করে যাচ্ছেন। শরীরে মেসির ট্যাটু থেকে শুরু করে বিশাল প্রতিকৃতি বানানো, কোনো কিছুই করতে বাদ রাখেননি তার ভক্তরা। তবে এবার ভুট্টাক্ষেতে মেসির বিশাল প্রতিকৃতি বানিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার ম্যাক্সিমিলিয়ানো স্পিনাজে নামক এক কৃষক।

জানা যায়, আর্জেন্টিনার মধ্য কর্ডোবা প্রদেশের লস কনডোরেস এলাকার একটি ভুট্টাক্ষেতে বিশেষ অ্যালগরিদম ব্যবহার করে বীজ বপন করা হয়। অ্যালগরিদম গণনা করে এমনভাবে বীজ বপন করা হয়, যাতে সেগুলো থেকে চারা গজানো শুরু হলে মেসির দাড়িওয়ালা চেহারার বিশাল প্রতিকৃতি সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে ম্যাক্সিমিলিয়ানো বলেন, আমার কাছে মেসি অপরাজেয়। এখন আমার দেশ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। আর এ জয়ের নেতৃত্ব দেওয়া মহানায়ক মেসিকে উৎসর্গ করে এমন কাজ করতে ও তার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে পেরে আমি আনন্দিত।

তিনি আরও জানান, কার্লোস ফারিসেলি নামের একজন কৃষি প্রকৌশলী বীজ বপনের যন্ত্রগুলোর জন্য কোডিং ডিজাইন করেন। ওইসব যন্ত্রের মাধ্যমেই একটি সুনির্দিষ্ট প্যাটার্নে বীজ বপন করা সম্ভব হয়। আর মেসির মুখ স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলতে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় বীজের ঘনত্ব বেশি রাখা হয়।

ফারিসেলি বলেন, মাটিতে হুবহু মেসির মুখ আঁকাতে আমি একটি কোড তৈরি করার ধারণা নিয়েছিলাম। তারপর যে কৃষক তার ক্ষেতে মেসির প্রতিকৃতি বানাতে রাজি হন, কোডটি তাকে দিয়ে দিই।

‘আর জিওকোডিং সরঞ্জাম ব্যবহার করে নির্মিত যন্ত্রগুলোতে এমনভাবে কোডিং করা হয়, যাতে সেগুলো মেসির মুখের বিভিন্ন অংশ তৈরি করতে প্রতি বর্গমিটারে সঠিক পরিমাণ বীজ বপন করতে সক্ষম হয়।’

ফারিসেলি আরও বলেন, যখন ওই বীজ থেকে চারা গজাতে শুরু করে, তখন একটি ড্রোন দিয়ে পরো ক্ষেতের কয়েকটি ছবি তোলা হয়। ছবিগুলোতে দেখা যায়, সবুজ হতে থাকা ক্ষেতে মেসির মুখ ফুটে উঠতে শুরু করেছে। এ ধরনের শিল্পকর্ম তৈরির পেছনে কাজ করতে পেরে আমি সত্যিই গর্বিত।

ফুটবল পাগল আর্জেন্টিনা দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম প্রধান কৃষি উৎপাদনকারী দেশ ও বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ভুট্টা রপ্তানিকারক। দেশটির প্রধান রপ্তানি উৎসই হলো কৃষি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

5 × 2 =