উপস্থাপনার পাশাপাশি ছোট পর্দা এবং মঞ্চে বেশ দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন মৌসুমী মৌ। এবার তিনি পেলেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। সম্প্রতি মরক্কোতে ৩৫ তম আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার উৎসবে অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশন (ডুমা)। ‘অস্বীকৃতি’ দিয়ে সেরা নারী পারফরমারের স্বীকৃতি পেলেন দলটির সদস্য মৌসুমী মৌ।
মরক্কোর প্রাচীন শহর কাসাব্লাংকায় অবস্থিত দ্বিতীয় হাসান ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হয় ৩৫ তম নাট্যোৎসব। মোট ৭টি ক্যাটাগরি ছিল দেওয়া হয় পুরস্কার। এতে সেরা কোরিওগ্রাফির পুরস্কার পেয়েছে ইতালি, সেরা সিনেমাটোগ্রাফি ইতালি, সেরা ফিমেল অ্যাক্টর যৌথভাবে মরক্কো সেরা অ্যাকট্রেস বাংলাদেশ (মৌসুমী মৌ ও মরক্কো সামিয়া এলয়াসুলি), সেরা ডিরেক্টর জার্মানি, সেরা স্ক্রিপ্ট রাইটার মরক্কো দ্য স্পেশাল প্রাইজ অব জুরি।
সেরা ফিমেল অ্যাক্টর যৌথভাবে মরক্কো সেরা অ্যাকট্রেস বাংলাদেশ (মৌসুমী মৌ ও মরক্কো (সামিয়া) ‘অস্বীকৃতি’ রচনা ও নির্দেশনায় আছেন শাহরিয়ার শাওন। অভিনয় করেছেন মৌসুমী মৌ, মো. মেহেদী হাসান সোহান, শাহরিয়ার শাওন এবং মীর লোকমান।
মৌয়ের হাতে সেরা পারফরমারের পুরস্কার তুলে দেওয়ার সময় পাশে ছিলেন বাংলাদেশ দলের দলনেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক তাওহিদা জাহান।
নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে মৌসুমী মৌ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ ছিল উৎসবের সমাপনী আয়োজন। আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে সব। আমার কল্পনার বাইরে ছিল, আমি ভাবতেও পারিনি আমি সেরা ফিমেল পারফরমার হব এত এত নারী পারফরমারের মধ্যে।’ দ্য স্পেশাল প্রাইজ অব জুরি।
গত বৃহস্পতিবার ‘অস্বীকৃতি’, ‘চেয়ার: দ্য সাইন অব পাওয়ার’, ‘ভালোবাসা’ এবং ‘অতঃপর, সুবোধ পালাবে না আর’-চারটি স্কেচ নিয়ে ৪০ মিনিটের প্রযোজনাটি পরিবেশন করেছেন বাংলাদেশের শিল্পীরা। মাইম অ্যাকশন ও মূকাভিনয়ের একাডেমিক প্ল্যাটফর্ম ইনস্টিটিউট অব মাইম অ্যান্ড মুভমেন্টের সমন্বয়ে পরিবেশিত হয়েছে প্রযোজনাটি। ২৪ জুলাই শুরু হওয়া এই নাট্যোৎসব শেষ হয় আজ।