মহেশখালীর কুতুবজমে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ, মঙ্গলবার এক্সিলারেট এনার্জির উদ্যোগে ও হোপ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ‘এক্সিলারেট হোপ হাসপাতাল’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, এক্সিলারেট এনার্জির প্রতিনিধিবৃন্দ এবং হোপ ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
৩০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতাল ১৭,২৮০ বর্গফুট জায়গা জুড়ে নির্মিত হয়েছে । মহেশখালীর জনমানুষকে, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের আধুনিক ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দিতে এই হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে, এরপর এক্সিলারেট এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেড এর কান্ট্রি ম্যানেজার কমডোর (অবঃ) হাবিব ভূঁইয়া স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। তার বক্তব্যে বাংলাদেশের প্রতি এক্সিলারেট এনার্জির প্রতিশ্রুতি শুধু জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সামাজিক উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণেও ভূমিকা রাখার বিষয়টি উঠে আসে।
এক্সিলারেট এনার্জির স্ট্রাটেজিক অ্যাডভাইজার মি. পিটার হাস বলেন, “এক্সিলারেট এনার্জি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আসছে। আমরা শুধুমাত্র বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা শক্তিশালী করার লক্ষ্যেই কাজ করছি না, বরং এখানকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ড. নূরুন্নাহার চৌধুরী, এনডিসি, তার বক্তব্যে এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “এই হাসপাতালটির সুযোগ-সুবিধাগুলো এখানকার মানুষ যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে অত্যন্ত উপকৃত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এছাড়া এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা সকলের জন্য মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারব।”
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত জনাব লুৎফে সিদ্দিকী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং দেশের স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো শক্তিশালী করতে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “এক্সিলারেট এনার্জি এবং হোপ ফাউন্ডেশনের নেওয়া এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয় ও সময়োপযোগী। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জন্য আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
তিনি আরও বলেন, “কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে প্রতিষ্ঠিত ‘এক্সিলারেট হোপ হাসপাতাল’ বাংলাদেশ ও এক্সিলারেটের দৃঢ় বন্ধুত্বের প্রতিফলন। আমি আশা করি, আগামী দিনে এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।”
সমাপনী বক্তব্যে হোপ ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এম জাহিদউজ্জামান বলেন, “হোপ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা ডা. ইফতিখার মাহমুদ এবং মহেশখালীর জনগণের পক্ষ থেকে আমরা ৩০ শয্যাবিশিষ্ট এক্সিলারেট হোপ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য এক্সিলারেট এনার্জির প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। হোপ ফাউন্ডেশন এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগে এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গে অংশীদার হতে পেরে আনন্দিত। ২০০৭ সাল থেকে হোপ ফাউন্ডেশন এ অঞ্চলে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত রয়েছে। সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে এক্সিলারেট হোপ হাসপাতালের মাধ্যমে মহেশখালীবাসীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এক্সিলারেট এনার্জি এর এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব রামন ওয়াংডি, মহেশখালীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মো. হেদায়েত উল্লাহ, সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ এবং গণমাধ্যমকর্মী।
এক্সিলারেট হোপ হাসপাতাল মহেশখালী অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতি পূরণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে এবং এই এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখবে।