মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে কি করবেন

অনেকের ধরে নেওয়ার প্রবণতা আছে যে, সামান্য সমস্যা এমনিতেই সেরে যায়। মাথা ধরলে অনেকেই ভাবেন চোখের পাওয়ার বেড়েছে। কেউ ভাবেন একটু ঘুমিয়ে নিলেই সেরে যাবে। কেউ আবার দু’ চারটে পেনকিলারও খেয়ে নেন। কিন্তু সমস্যাটা না জেনে নিজে চিকিৎসা করবেন না। বরং কারও যদি মাইগ্রেন থাকে, তা হলে মাইগ্রেন বাড়া-কমার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।

‍কেউ আবার ঠান্ডা কমপ্রেসে আরাম পাওয়ার চেষ্টা করেন। মাইগ্রেন রেসকিউ কিট হাতের কাছে রাখেন। মেন্থলেটেড প্যাকেট থাকে তাতে। বাড়িতে থাকলে আইস কিউবের ওপরেও ভরসা করতে পারেন। তবে এই ধরনের চিকিৎসা একা করা ঠিক নয়। মাইগ্রেনের যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য হয়তো দেখা গেল ঠান্ডা বাধিয়ে বসেছেন।

পড়াশোনা বা কাজের সূত্রে, বেশির ভাগ মানুষকেই দীর্ঘ সময় কাটাতে হচ্ছে মোবাইল, কম্পিউটার জাতীয় ডিভাইসে। মিটিং বা পড়াশোনার সময়ে কারও পক্ষে বিরতি নেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু নিজের স্ক্রিন টাইমিংয়ের ওপরে রাশ টানা জরুরি। অহেতুক মোবাইল স্ক্রল করে কাটাবেন না। এর ফলে ক্ষতি হয় মস্তিষ্কের এবং চোখের। বরং সেই সময়টা চোখকে আরাম দিন। চোখ বুজে গান শুনুন কিংবা হালকা ব্যায়াম করতে পারেন।

দিনের বেশির ভাগ সময় যাদের ডিজিটাল স্ক্রিনের সামনেই কাটছে, তারা চাইলে মাইগ্রেন গ্লাসেস ব্যবহার করতে পারেন। চোখে আরাম মিলবে। নিজের ডিভাইসটিকেও উন্নত করতে পারেন। অ্যান্টি গ্লেয়ার স্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।

যে সময়টা স্ক্রিনের সামনে কাটছে, নিতান্ত দরকারে সেই কাজ করতেই হবে। বাকি সময়টা স্ক্রিন ছাড়া বাঁচার চেষ্টা করুন। কখনও অডিয়ো বুক শুনলেন। কখনও গান শোনা যেতে পারে। কালারিং বুকও দারূন স্ট্রেস কমায়। কখনও রান্না করতে পারেন। সময় থাকলে নানা শৈল্পিক কাজ, আঁকাবুকিতে মন দিতে পারেন।

সবচেয়ে বেশি জরুরি নিজেকে ভালবাসা। সারাদিন ঘরে বন্দি হয়ে কাজ করতে করতে বা পড়াশোনার মাঝে ডুবে না থেকে আর কী করলে নিজেই খুশি হন? সেই প্রশ্ন করুন। সুস্থ জীবন যাত্রা জরুরি অবশ্যই। তার চেয়েও বেশি জরুরি নিজেকে ভাল বেসে, নিজের মনের কথা শোনা।

এই সময়

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

fifteen − 14 =