মারা গেছেন কবি ও গীতিকার জাহিদুল হক

কবি ও গীতিকার জাহিদুল হক সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন বলে জানিয়েছেন  তার পরিবারের সদস্যরা (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তারা জানান, ১৫ দিন আগে জাহিদুল হক ব্রেন স্ট্রোক করেছিলেন। এরপর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

জাহিদুল হক একাধারে কবি, গলকার, ঔপন্যাসিক ও গীতিকার ছিলেন। তার জন্ম ১৯৪৯ সালের ১১ আগস্ট ভারতের আসামের বদরপুর। পৈতৃক নিবাস কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের আকদিয়া গ্রামের ভূঞা বাড়ি। বসবাস করতেন ঢাকার বনশ্রীতে। তার লেখালেখির শুরু হয় স্কুল জীবনে। প্রথম কবিতা প্রকাশ হয় ১৯৬৫ সালে দৈনিক সংবাদের ঈদ সংখ্যায়। গীতিকবি হিসেবেও সুনাম কুড়িয়েছেন।

জাহিদুল হকের লেখা উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে ‘আমার এ দুটি চোখ, ‘কথা দাও, কথাগুলো ফেরত দেবে না’, ‘স্বাধীনতা তুমি আমার বাড়িতে এসো’, ‘স্বপ্ন আমার কাজল পুকুর তুমি’, ‘যে দেশে বাতাস স্মৃতির স্পর্শে ভারী’, ‘কতো দিন পরে দেখা, ভালো আছো তো’, ‘আমি তোমার ভালোবাসার খাঁচায় ধরা দেবো’ ইত্যাদি।

তার লেখা প্রকাশিত গ্রন্থগুলো হলো পকেট ভর্তি মেঘ (কবিতা), তোমার হোমার (কবিতা), নীল দূতাবাস (কবিতা), সেই নিঃশ্বাসগুচ্ছ (কবিতা), পারীগুচ্ছ ও অন্যান্য কবিতা (কবিতা), এই ট্রেনটির নাম গার্সিয়া লোরকা (কবিতা), এ উৎসবে আমি একা (কবিতা), ব্যালকনিগুলো (গল্প), আমার ভালোবাসার অটম (গল্প), তোমার না আসার বার্ষিকী (উপন্যাস) ও আমজাদ আলির মেঘবাড়ি (উপন্যাস)।

২০০০ সালে তিনি জসীমউদ্দিন সাহিত্য পুরস্কার, ২০০২ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও ২০১৭ সালে লিরিক কবিতার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ থেকে বিশেষ সম্মাননা পেয়েছিলেন এই গুণী কবি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

5 × four =