মালিঙ্গা সবধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন

টেস্ট ও ওয়ানডে থেকে অবসর নিয়েছেন অনেক আগেই। খেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন কেবল টি-টোয়েন্টিতে। অবশ্য গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই সংস্করণেও মাঠে নামা হয়নি লাসিথ মালিঙ্গার। অবশেষে এই পাঠও চুকিয়ে ফেললেন শ্রীলঙ্কার এই পেসার। বিদায় বলে দিলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে।

ক্রিকেটের ২০ ওভারের সংস্করণ থেকে মঙ্গলবার অবসরের ঘোষণা দেন মালিঙ্গা। এরই মধ্য দিয়ে সমাপ্তি হলো ক্রিকেটে ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের দুই দশকের পথচলা।

গত বছরের মার্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাল্লেকেলেতে খেলা টি-টোয়েন্টি হয়ে রইল স্বীকৃত ক্রিকেটে তার সবশেষ ম্যাচ।

২০০১-০২ মৌসুমে প্রথম শ্রেণি ও লিস্ট ‘এ’ দিয়ে পেশাদার ক্রিকেটে পা রাখা মালিঙ্গার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় ২০০৪ সালে। জাতীয় দলের হয়ে এই সংস্করণে প্রথম খেলেন আরও দুই বছর পর।

২০১১ সালে টেস্ট ও ২০১৯ সালে ওয়ানডে থেকে বিদায় নেওয়া মালিঙ্গা শ্রীলঙ্কার ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক ছিলেন। খেলেছেন এখনও পর্যন্ত হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবগুলো আসর।

দেশের হয়ে খেলা ৮৪ টি-টোয়েন্টিতে ২০.৭৯ গড়ে উইকেট নিয়েছেন ১০৭টি। শ্রীলঙ্কার তো বটেই, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি।

এই সংস্করণে দারুণ সব রেকর্ড আছে মালিঙ্গার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে দুই বার হ্যাটট্রিক করার অনন্য কীর্তি আছে তার। এছাড়া চার বলে ৪ উইকেট নেওয়া দুই বোলারের একজন তিনি।

ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও দারুণ চাহিদা ছিল মালিঙ্গার। খেলেছেন আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, সিপিএলে জ্যামাইকা তালাওয়াস ও গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স, বিপিএলে খুলনা টাইটান্স ও রংপুর রাইডার্স এবং বিগ ব্যাশে মেলবোর্ন স্টার্সের হয়ে।

আইপিএলে সব আসর মিলিয়ে টুর্নামেন্টের সফলতম বোলার মালিঙ্গা, নিয়েছেন ১৭০ উইকেট। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে মুম্বাইয়ের হয়ে রেকর্ড ১৯৫ উইকেট লঙ্কান এই পেসারের।

বিডিনিউজ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

four − one =