মিলান ডার্বিতে জয়ী হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ইন্টার

দীর্ঘ ১৩ বছরের অবসান ঘটিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইন্টার মিলান। গতকাল সান সিরোতে অনুষ্ঠিত সেমি ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে লটারো মার্টিনেজের একমাত্র গোলে চির প্রতিদ্বন্দ্বি প্রতিবেশী ক্লাব এসি মিলানকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে ইন্টার। এই জয়ে  দুই লেগে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে ফাইনাল নিশ্চিত করে সিমোন ইনজাগির শিষ্যরা।

এই জয়ে আগামী ১০ জুন তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলের ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটি অথবা রিয়াল মাদ্রিদের মোকাবেলা করবে ইন্টার মিলান। ফাইনালে  ইন্টার আন্ডারডগ হিসেবে খেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু যে পন্থায় অলমিলান সেমির বৈতরণী পার হয়েছে তাতে ইন্টারকে হারানো কঠিন হবে বলেই ধারনা বিশ্লেষকদের।

ম্যচের ৭৪ মিনিটে জয়সুচক একমাত্র গোলটি পেয়েছে ইন্টার মিলান। এই সময় বদলী হিসেবে আসা রোমেলু লুকাকুর সঙ্গে বল আদান প্রদানের মাধ্যমে এসি মিলানের বক্সে ঢুকে পড়েন আর্জেন্টাইন তারকা মার্টিনেজ। পেনাল্টি এরিয়া থেকে তার নেয়া শটের বলটি সফরকারীদের জালে আশ্রয় নেয়।

নগর প্রতিদ্বন্দ্বি এসি মিলানের বিপক্ষে নিজ দলের সমন্বয়ের প্রশংসা করেছেন ইন্টারের অধিনায়ক মার্টিনেজ। তিনি বলেন,‘একটি স্কোয়াডকে কিভাবে সমন্বয় করা হয় তার অভিজ্ঞতা আমি (আর্জেন্টিনার হয়ে) বিশ্বকাপ থেকে অর্জন করেছি। এটি সহজ করে তোলে, যদি আপনার একটি ঐক্যবদ্ধ স্কোয়াড থাকে। এতে গুরুত্বপুর্ন ম্যাচগুলোতে যতটা সম্ভব সেরা উপায়ে খেলতে পারবেন।’ তার দেয়া গোলটি ম্যাচের সব রকম আশংকাকে উড়িয়ে দেয়।

প্রথম লেগে ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়া এসি মিলান গতকাল লড়াইয়ে ফেরার প্রাণপন চেস্টা করেছে। রাফায়েল লিয়াওর নেতৃত্বে গোলের সুযোগও সৃস্টি করেছিল। তার নেয়া শটের বল গোল পোস্টে পেরিয়ে যায়। যেটি ছিল সফরকারী দলের সেরা সুযোগ গুলোর অন্যতম।

এদিকে ফ্রি কিক থেকে হাকান চাহানগ্লুর বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে এডিন জেকোর হেডের বল দারুনভাবে প্রতিহত করেন গোলরক্ষক ম্যাগনান।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে লুকাকু বদলী হিসেবে মাঠে আসার পর দারুনভাবে জ্বলে উঠে ইন্টার মিলান। শেষ পর্যন্ত বেলজিয়ান ওই তারকার সহায়তা নিয়ে লিড নিতে সক্ষম হয় স্বাগতিক দলটি।

ইনজুরির কারণে মৌসুমের দীর্ঘ সময় সাইডলাইনে কাটিয়েছেন বেলজিয়ান ওই স্ট্রাইকার। একই সঙ্গে বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের ব্যর্থতায়ও নস্ট হয় তার সুনাম। তবে ধীরে ধীরে নিজের অবস্থানে ফেরার চেস্টা করছেন লুকাকু। চেলসি থেকে ধারে মিলানে খেলতে আসা ওই তারকা বেকায়দায় ফেলে দেয় সফরকারী রক্ষনকে। এরই ধারাবাহিকতায় আসে মার্টিনেজের একমাত্র গোলটি।

২০১০ সালে হোসে মরিনহোর অধীনে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের সেরা সফলতা অর্জনের পর প্রথমবারের মতো পেলো ফাইনালে খেলার নিশ্চয়তা। এখন চতুর্থ শিরোপা থেকে আর মাত্র এক ম্যাচে দূরত্বে অবস্থান করছে নেরাজ্জুরিরা।

কোচ ইনজাগি বলেন, ‘এটি যেন স্বপ্ন সত্যি হবার মতো। আমাদের সবসময় এই বিশ্বাসটি ছিল যে আমরা পারব। এটি ছিল (ফাইনাল পর্যন্ত) আমাদের এক অসাধারণ যাত্রা।’

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

thirteen + 4 =