আবারো জোড়া গোল করে ইন্টার মিয়ামিকে দারুন এক জয় উপহার দিয়েছেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের নৈপুন্যে এফসি ডালাসকে টাই ব্রেকারে পরাজিত করে লিগ কাপের কোয়র্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে মিয়ামি। নির্ধারিত সময়ের ম্যাচটি ৪-৪ গোলে ড্র ছিল।
৮৫ মিনিট মেসির ট্রেডমার্ক কার্লিং ফ্রি-কিকে ৪-৪ গোলে সমতায় ফিরে মিয়ামি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির হয়ে সাত ম্যাচে এটি মেসির সপ্তম গোল। ম্যাচের ১০ মিনিট বাকি থাকতে ৪-২ গোলে পিছিয়ে ছিল মিয়ামি।
মেজর লিগ সকার ও মেক্সিকোর লিগা এমএক্স’র শীর্ষ ক্লাবগুলোকে নিয়ে এবারই প্রথমবারের মত আয়োজিত হচ্ছে এই লিগ কাপ। টুর্ণামেন্টের ফর্মেট অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে ড্র থাকা ম্যাচগুলোতো কোন অতিরিক্ত সময় নয়,সরাসরি পেনাল্টিতে ভাগ্য নির্ধারিত হবে।
ম্যাচ শুরুর ৬ মিনিটে জোর্দি আলবার পুল-ব্যাকে দারুন ফিনিশিংয়ে মিয়ামিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মেসি। প্রথমে গোলটি অফসাইডের কারতে বাতিল হয়ে গেলেও রেফারি রিভিউ দেখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। ৩৭ মিনিটে আর্জেন্টাইন ফাকুন্ডো কুইগননের গোলে সমতায় ফিরে ডালাস। ফুল-ব্যাক মার্কো ফারফানের পাসে কুইগনোন ডালাসের হয়ে গোল পরিশোধ করেন। ৪৫ মিনিটে মিয়ামির দুই ডিফেন্ডারকে পিছনে ফেলে দুর্দান্ত এক ফিনিশিংয়ে স্বাগতিক ডালাসকে এগিয় দেন বার্নার্ড কামুঙ্গো। ডালাসের আরেক আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় এ্যালান ভেলাসকো ৬৩ মিনিটে ফ্রি-কিকে ব্যবধান ৩-১’এ নিয়ে যান। ৬৫ মিনিটে টিনএজার বদলী খেলোয়াড় বেঞ্জামিন ক্রেমাশি আলবার লো বলে মিয়ামির হয়ে এক গোল পরিশোধ করেন। এর মিনিট খানেক আগে বদলী বেঞ্চ থেকে মাঠে নেমেছিলেন ক্রেমাশি। ৬৮ মিনিটে রবার্ট টেইলরের আত্মঘাতি গোলে ডালাস আবারো দুই গোলের লিড পায়। ম্যাচ শেষের ১০ মিনিট আগে বক্সের ভিতর মেসি ফ্রি-কিক হেডের সাহায্যে ক্লিয়ার করতে গিয়ে ফারফান বল জালে জড়ালে আত্মঘাতি গোলের লজ্জায় পরে ডালাস। এই গোলে মিয়ামি ম্যাচে ফিরে আসার ইঙ্গিত দেয়। কিন্তু শেষ নাটকীয়তা তখনো বাকি। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পাঁচ মিনিট আগে ২০ গজ দুর থেকে আবারো মেসির সেই ফ্রি-কিক, আবারো বল জালে, আবারো মিয়ামির ঐতিহাসিক ম্যাচের গল্পকথা রচনা।
পেনাল্টি শ্যুট আউটে মেসি প্রথম গোল করে সতীর্থদের উৎসাহিত করেছেন। ডালাসের হয়ে দ্বিতীয় সুযোগটি হাতছাড়া করেন পাক্সটন পোমিকাল। শেষ স্পট কিক থেকে ক্রেমাশি মিয়ামির শেষ আট নিশ্চিত করেন।