জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জ্ঞানকোষ ‘মুজিবপিডিয়া’ প্রকাশের লক্ষ্যে সম্প্রতি সিটি ব্যাংক ও হিস্ট্রি এন্ড কালচার সার্কেল বাংলাদেশ লিমিটেডের (এইচসিসিবিএল) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সিটি ব্যাংক সেন্টারে এ অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন এবং এইচসিসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ‘মুজিবপিডিয়া’র সম্পাদক ফরিদ কবির স্বাক্ষর করেন। এ সময় দুই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় সাত শ ভুক্তি সংবলিত ১/৮ ডিমাই আকারের ১০০০ পৃষ্ঠার এ মহাগ্রন্থটি (এনসাইক্লোপিডিয়া) প্রকাশিত হতে যাচ্ছে এ বছর ডিসেম্বরে, বিজয় দিবসের আগে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে পূর্ণাঙ্গ ও পূর্ণমাত্রিক এই এনসাইক্লোপিডিয়াটি যার নাম ‘মুজিবপিডিয়া’, প্রকাশ করবে গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিস্ট্রি এন্ড কালচার সার্কেল বাংলাদেশ লিমিটেড। এ গ্রন্থটি প্রকাশের ক্ষেত্রে অর্থায়নসহ সব ধরনের সহায়তা দেবে সিটি ব্যাংক। গ্রন্থটির প্রধান সম্পাদক কবি-গবেষক কামাল চৌধুরী, সম্পাদক কবি ও সাংবাদিক ফরিদ কবির এবং নির্বাহী সম্পাদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস সব অর্থেই সমার্থক। এমনকি শেখ মুজিব ও বাংলাদেশ, দুটি নামই পাকিস্তান সৃষ্টির পর এগিয়েছে পরস্পরের হাত ধরে, নানা উত্থান, নানা সংগ্রাম শেষে পরিণতিও পেয়েছে একইসঙ্গে। ফলে ‘বাংলাদেশ’ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাস যেমন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িত, তেমনি বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতার ইতিহাসও বঙ্গবন্ধুর জীবনের সঙ্গে জড়িত । শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠার ইতিহাস তাই এই জাতির ইতিহাস থেকে অবিচ্ছেদ্য। আর এ কারণেই বঙ্গবন্ধুর জীবনকথা শুধুমাত্র তাঁর নিজের জীবনকথা নয়, বাঙালির দীর্ঘকালের শোষণ ও তার স্বাধিকার অর্জনের বহুবর্ণিল কাহিনীও। স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও, বাঙালির মুক্তির মহানায়ককে নিয়ে হাজার গ্রন্থ লেখা হলেও, তাঁকে নিয়ে সম্পূর্ণ একটি আকরগ্রন্থের অভাব রয়েই গেছে।
‘মুজিবপিডিয়া’য় এক মলাটে মিলবে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবন, তাঁর কর্ম ও আদর্শ, তাঁর সুদীর্ঘ সংগ্রামের বিবরণ, একইসঙ্গে মিলবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বাঙালির মুক্তির ইতিহাস। সাথে থাকছে ঐতিহাসিক আলোকচিত্র ও তথ্য। পাশাপাশি ‘কিউআর কোড’ দিয়ে এতে যুক্ত করা হচ্ছে নতুনভাবে নির্মিত প্রায় একশ ভিডিওচিত্র।
বাসস