মেক্সিকো সিটিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং ক্লাস্ট্রো দ্য সোর-হুয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়, যৌথ উদ্যোগে গত ০৬ মে ২০২৪ তারিখে একটি প্রাণবন্ত অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী এবং বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন করে। অনুষ্ঠানে প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়টির অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।
ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। বৈশাখের আবহ সঙ্গীত ‘এসো হে বৈশাখ’ গানের সাথে, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে প্রস্তুতকৃত বর্ণিল মুখোশ এবং চিত্তাকর্ষক ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত হয়ে উপস্থিত সকলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল ২০২৪ এবং ০২ মে ২০২৪ তারিখে দুতাবাস এবং ক্লাস্ট্রো দ্য সোর-হুয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত দুইদিন-ব্যাপী কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রায় ২৫ জন শিক্ষার্থী অত্যন্ত উৎসাহের সাথে এই মুখোশ ও ফেস্টুনগুলি রং এবং প্রস্তুত করবার কাজে অংশগ্রহণ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কারমেন বিয়াত্রিজ লোপেজ পোর্টিয়ো তার বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসকে অভিনন্দন জানান। সেইসাথে, তরুণদের সম্পৃক্ত করে পারস্পরিক সাংস্কৃতিক বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচনা করবার জন্য দূতাবাসের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার বক্তব্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করার জন্য ডিন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এসময় তিনি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক এই সকল মুখোশ এবং ফেস্টুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের মতো রঙ করবার জন্য এবং কর্মশালায় উৎসাহী অংশগ্রহণের জন্য উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি উপস্থিত সকলকে ঈদ এবং বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান এবং ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ “মঙ্গল শোভাযাত্রা”- তে অংশগ্রহণ করবার জন্য সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পরে রাষ্ট্রদূত ইসলাম, ডিন কারমেন বিয়াত্রিজ লোপেজ পোর্টিয়ো এবং ভাইস ডীন কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে মেক্সিকোর স্থানীয় শিল্পীদের দ্বারা বৈশাখী নৃত্য পরিবেশন করে যা দর্শকদের মুগ্ধ করে। তাছাড়া, আয়েজিত এই অনুষ্ঠানটি উপস্থিত সকলের মধ্যে বাংলাদেশের একটি আবহ সৃষ্টি করে। এছাড়া পরিবেশনকৃত ঐতিহ্যবাহী পান্তা ভাত, নানা পদের ভর্তা এবং সেমাইয়ের স্বাদ এই আয়োজনকে অধিকতর আনন্দবহ করে তোলে।