একের পর এক রেকর্ড গড়ে চলছেন আর্লিং হালান্ড। এই মৌসুমেই তিনি যোগ দিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটিতে।
নিজের প্রথম মৌসুমেই ক্লাবটির হয়ে হালান্ড করে ফেলেছেন ৫০ গোল। প্রিমিয়ার লিগের এখনও ছয় ম্যাচ বাকি, এর মধ্যেই ছুয়েছেন সর্বোচ্চ ৩৪ গোল করার রেকর্ড। অ্যান্ড কোল ও এলান সেয়ারার এতদিন যৌথভাবে মালিক ছিলেন এটির।
হালান্ডকে এখন তুলনায় আনা হচ্ছে আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির সঙ্গেও। ২০১১-১২ মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে তিনি করেছিলেন ৭৩ গোল। তখনও মেসির কোচ ছিলেন পেপ গার্দিওলা। এখন সিটিতে হালান্ডের গুরুও তিনি। যদিও মেসির সঙ্গে তুলনায় নিজের আপত্তির কথাই জানালেন হালান্ড।
তিনি বলেন, ‘কেউই মেসির সঙ্গে তুলনা করার মতো না। এটা হালান্ডকে সাহায্য করবে না। মেসি আমার দেখা সবচেয়ে পরিপূর্ণ ফুটবলার। তার ভিশন, ড্রিবলিং, পাসিং, প্রতিদ্বন্দ্বীতা, অনেক দিক থেকেই কঠিন (তার মতো হওয়া)। আশা করি হালান্ড মেসির খুব কাছাকাছি যেতে পারবে। সেটা আমাদের ও তার জন্য দারুণ হবে। কিন্তু কাউকে মেসির সঙ্গে তার তুলনা করায় আমি সাহায্য করতে পারবো না। ’
হালান্ড এবার সিটির হয়ে রেকর্ড সংখ্যক গোল করেছেন। তার সামনে সুযোগ ইংল্যান্ডের শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাবের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড গড়ার। ১৯২৭-২৮ মৌসুমে ৬৩ গোল করে এই কীর্তি গড়েছিলেন এভারটনের ফুটবলার ডিক্সি ডেয়ান। গার্দিওলা অবশ্য বলছেন, এখনও সেরাটা বাকি হালান্ডের।
তিনি বলেন, ‘আমি আর্লিংকে সবসময়ই বলি- এটা কঠিন হবে যদি সে যা করেছে তার দিকে তাকায়, যখন এভাবে গোল করে যেতে পারবে না পারে তখন মানুষ বলবে, সে বাজে অবস্থায় আছে। কিন্তু তার খেলায় আরও অনেক উন্নতি আসতে পারে। ’
‘আমি শুধু বক্সে উন্নতির কথাই বলছি না কিন্তু পুরো খেলাতেই সেটা হতে পারে, তার মুভমেন্ট। আমার মনে হয় তার মধ্যে ওই অনুভূতিটা আছে যে এটাই যথেষ্ট কি না। আমি এটাও মনে করি তার মধ্যে আরও ভালো খেলোয়াড় হওয়ার তাড়না আছে। যতক্ষণ সেটা থাকবে, হালান্ড সেটা হতেও পারবে। ’