প্রতিটি প্রেমকাহিনির ভেতরে লুকিয়ে আছে এক বা একাধিক যুদ্ধের গল্প। সেই যুদ্ধে জিতলে তবেই তো প্রেম সফল। বরুণ ধাওয়ান ও জাহ্নবী কাপুর জুটির প্রথম সিনেমা ‘বাওয়াল’ এমন কথাই বলছে। তবে সিনেমার ট্রেলারে দেখা গেল, প্রেম নিয়ে প্রথম দিকে মোটেই যুদ্ধের মুখে পড়তে হয়নি বরুণ-জাহ্নবীকে। কোনো বাধা ছাড়াই তাদের শুভ পরিণয় সুসম্পন্ন হয়। হানিমুনে বউকে নিয়ে যায় ইউরোপে। প্যারিসের মতো প্রেমের শহর ঘুরে জার্মানিতে হাজির হয় নবদম্পতি। সম্পর্ক নিয়ে বাওয়াল বা ঝামেলার শুরু সেখান থেকেই।
বাওয়ালে বরুণের নাম অজ্জু, লখনউয়ের এক স্কুলে পড়ায়। তার জীবনের একমাত্র হাতিয়ার—মিথ্যা। মিথ্যার ওপর ভর করেই এলাকায় নিজের ইমেজ দাঁড় করিয়েছে সে। কোনো কাজ পারুক আর না পারুক, কথায় সে শতভাগ পটু। তার সঙ্গে এক দোকানে দেখা হয় নিশার (জাহ্নবী)। দুজনের মধ্যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কোনো মিল নেই। একজন পছন্দ করে বিরাট কোহলিকে, তো অন্যজন রাহুল দ্রাবিড়কে। একজনের পছন্দ ফেরারি গাড়ি তো অন্যজনের স্কুটি। পছন্দের এই পার্থক্য বিয়ের পর তাদের সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি করে।
মূলত বিয়ের পরই অজ্জুর আসল রূপ চিনতে পারে নিশা। স্বামীর এমন পরিবর্তনে স্তম্ভিত হয়ে যায় সে। অন্যদিকে হানিমুনে গিয়েই অজ্জু আবিষ্কার করে স্ত্রীর মধ্যে কিছু ডিফেক্ট রয়েছে। প্রকাশ্যে তাঁকে ‘ডিফেক্টেড পিস’ বলে কটাক্ষ করতেও ছাড়ে না সে। বাওয়াল সিনেমার ট্রেলারে এসেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফ্ল্যাশব্যাক। হিটলারের নাৎসি বাহিনীর রেফারেন্সও পাওয়া গেছে। তারপরই শোনা যায় জাহ্নবীর সেই আলোচিত সংলাপ, ‘আমরা সবাই-ই কোনো না কোনো দিক দিয়ে হিটলারের মতো। নিজের কাছে যা আছে, তা নিয়ে খুশি না। আরেকজনের কাছে যা আছে, ওটাই চাই। এই লোভের কোনো শেষ নেই।’
প্রেম, লোভ, মিথ্যা, ছলনা—সব মিলিয়ে ‘বাওয়াল’-এ অন্য রকম এক সম্পর্কের গল্প দেখিয়েছেন পরিচালক নীতেশ তিওয়ারি। ‘চিল্লার পার্টি’র মাধ্যমে পরিচালনা শুরু করেছিলেন তিনি। ‘ভূতনাথ রিটার্ন’-এর পর আমির খানকে নিয়ে বানিয়েছিলেন ‘দঙ্গল’। সুশান্ত সিং অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘ছিঁছোরে’রও পরিচালক ছিলেন নীতেশ। এবার অনেক দিন পর ‘বাওয়াল’-এ বরুণ-জাহ্নবী জুটিকে নিয়ে পরিচালনায় ফিরেছেন তিনি। ভারত ছাড়াও এ সিনেমার শুটিং হয়েছে প্যারিস, বার্লিন, পোল্যান্ড, আমস্টারডামসহ একাধিক জায়গায়। সিনেমার প্রিমিয়ার হয়েছে আইফেল টাওয়ারে। ২১ জুলাই আমাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পাবে বাওয়াল।