মনীষা কৈরালা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০১২ সালে। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে সেরে উঠলেও শরীর-মনে এখনো আছে ক্লান্তির ছাপ। ব্যাধির সঙ্গে লড়াইটা যত কঠিন ছিল, তার চেয়ে তীব্র ছিল হতাশা কাটিয়ে ওঠার লড়াই। ভয়ংকর সেই দিনগুলো পার করে আসতে পেরেছেন মনীষা। বহু বছর পর তাঁকে নিয়ে আবার চর্চা হচ্ছে। মন খুলে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। ভক্তদের প্রশংসায় বিগলিত হচ্ছেন। আর এ সবই সম্ভব হয়েছে সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘হীরামান্ডি’ সিরিজের কল্যাণে। সিরিজের প্রধান চরিত্র মল্লিকাজানের ভূমিকায় তাঁর অভিনয় মুগ্ধ করেছে। হীরামান্ডি এখন নেটফ্লিক্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভারতীয় সিরিজ।
মনীষা জানিয়েছেন, ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর এবং বয়স ৫০ পেরিয়ে আসার পর, জীবন এভাবে ঘুরে যাবে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। ইনস্টাগ্রামে গতকাল তিনি লিখেছেন, ‘হীরামান্ডি আমার জীবনটাই বদলে দিয়েছে। ৫৩ বছর বয়সে এত দারুণ একটি চরিত্র পাব, তা ছিল কল্পনার বাইরে। হীরামান্ডির শুরুর দিকে ভীষণ আতঙ্কে ছিলাম। ক্যানসারের রেশ এখনো শরীরে রয়ে গেছে। দীর্ঘ শুটিং শিডিউল, ভারী কস্টিউম, গয়না—এগুলো এই অসুস্থ শরীরে ক্যারি করতে পারব কি না! হীরামান্ডি ছিল জীবনের কঠিন এক পরীক্ষা।’
মনীষা জানিয়েছেন, ক্যানসার তাঁকে যতটা ভুগিয়েছে, তার চেয়ে বেশি জীবন সম্পর্কে শিখিয়ে গেছে। এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মনীষা বলেন, ‘আমি ভাবতাম, আমার অনেক বন্ধু আছে। যাদের সঙ্গে পার্টি করেছি, ঘুরেছি, মজা করেছি, তারা আমার কষ্টে আমার সঙ্গে থাকবে, এটাই ভেবেছিলাম। কিন্তু তারা ছিল না। নিজেকে খুব একা মনে হয়েছিল। ওই কঠিন পরিস্থিতিতে শুধু আমার পরিবারের সদস্যরা পাশে ছিল। তখন বুঝেছি, সবাই ছেড়ে গেলেও পরিবার আমার পাশে থাকবে। তাই পরিবারই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘যাঁরা ভাবছেন, আপনাকে দিয়ে আর কিছু হবে না। তাঁদের বলছি, কখনো হাল ছাড়বেন না। আপনি নিজেও জানেন না, ভবিষ্যতে আপনার জন্য কোন সুখবর অপেক্ষা করছে।’