রাগী নিয়ে প্রত্যাশাটা অনেক বেশি: আচল

সৌন্দর্য ও দূর্দান্ত অভিনয় দক্ষতা একজন অভিনয়শিল্পীকে সাফল্যে শিখরে আরোহন করতে সহায়তা করে। চলচ্চিত্রাঙ্গনে এমন সম্পূর্ন অভিনয়শিল্পীর সংখ্যা হাতে গোনা। তাদের একজন আচল। ঢালিউডে পা রেখে সবার দৃষ্টি কেড়েছিলেন তিনি। একাধিক ব্যবসা সফল সিনেমা উপহার রাতারাতি পেয়ে যান তারকাখ্যাতি। সেই ধারা আজও অব্যাহত রয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার প্রেক্ষাগৃহে আসছে তার নতুন সিনেমা রাগী। এতে তিনি ছাড়াও অভিনয় করেছেন মুনমুন ও আবীর চৌধুরী। এছাড়া অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন খালেদা আক্তার কল্পনা, মারুফ, সনি রহমান, কাজী হায়াৎসহ আরও অনেকে। ছবিটি নিয়ে কথা বলতে আচলের মুখোমুখি হয়েছিল রংবেরং। এই অভিনেত্রী তুলে ধরেছেন ছবিটিকে ঘিরে তার প্রত্যাশা, অভিজ্ঞতার কথা।

আগামীকাল রাগী মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এই ছবি ঘিরে আপনার প্রত্যাশা কেমন?

অনেক বেশি প্রত্যাশা। কারণ অনেকদিন পর আমার সিনেমা আসছে। দর্শকরা একটা বাণিজ্যিক সিনেমা দেখতে পাবেন। আমি খুবই আশাবাদী।

এই সিনেমাটিতে আপনাকে কীভাবে পাবে দর্শক?

এই ছবিতে আমি মুনমুন আপুর ছোট বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছি। মুনমুন আপুর চরিত্রটা ভীষণ রাগী। মূলত ওনার চরিত্রের ওপরই সিনেমাটির নামকরণ করা হয়েছে। উনি ভীষণ রাগী। তিনি যেটা চান সেটা যেকোনো উপায়ে নিজের করে নেন। প্রয়োজনে মানুষ খুন করে হলেও নিজের স্বার্থ হাসিল করেন। আর আমার চরিত্রটি তার ঠিক উল্টো। আমি খুবই শান্ত। ভালোবাসা দিয়ে সব জয় করতে চাই।

এই সিনেমার মাধ্যমে মুনমুনের সঙ্গে প্রথম কাজ আপনার। অভিজ্ঞতাটা কেমন ছিল?

শুধু মুনমুন না, আবীরের সঙ্গেও এটা প্রথম কাজ আমার। দুজনের সঙ্গেই কাজের অভিজ্ঞতা খুব ভালো। আর মুনমুন আপু সম্পর্কে দূর থেকে লোকমুখে যেসব শোনা যায় তিনি তার একেবারেই উল্টো। তিনি কতটা ভালো মানুষ এবং কতটা গুণী অভিনয়শিল্পী সেটা তার সঙ্গে কাজ না করলে বুঝতে পারতাম না। আমি মনে করি তার মতো গুণী অভিনেত্রী আমাদের চলচ্চিত্রে খুব দরকার। তাছাড়া তার পারিবারিক অবস্থান এবং শিক্ষাদীক্ষাও উল্লেখ করার মতো। এমন সুশিক্ষিত মানুষ আমাদের ফিল্মে খুব প্রয়োজন। মুনমুন আপুর যে দর্শক আছেন এই সিনেমায় তার এক অন্য মুনমুনকে দেখতে পাবেন। আশা করি তাদের রুচিও বদলে যাবে।

রাগী হলে গিয়ে কেন দেখবেন দর্শক?

রাগী সবাই হলে গিয়ে দেখবে কারণ, এই ছবিটা সম্পূর্ন বাণিজ্যিক একটি ছবি। মানুষ ঠিক যে ধরনের সিনেমা পছন্দ করে এটি ঠিক তেমন। আমাদের দেশের অনেকেই তামিল ঘরানার সিনেমা পছন্দ করে। সেকারণে পরিচালক ছবিটি তামিল ঘরানাটা মাথায় রেখে নির্মাণ করেছেন। কতটুকু পেরেছেন সেটা দর্শক বলবেন। তবে আমি বলব এটি ভরপুর অ্যাকশনধর্মী একটি ছবি। পাশাপাশি যেখানে যতটুকু রোমান্স, বিনোদন প্রয়োজন সবটুকুই রেখেছেন। তাছাড়া অ্যাকশন, প্রেমিক-প্রেমিকার রোমান্স, খুনসুটি সবকিছুই নতুনভাবে উপস্থাপন করেছেন তিনি। প্রত্যেকটা দৃশ্য নির্মাতা ধরে ধরে যত্ন নিয়ে করেছেন। আমি মনে এসব কারণেই দর্শক ছবিটি দেখবেন।

আজকাল সিনেমা তৈরির সময় অনেকেই যখন হলিউড মাথায় রাখেন, সেসব সিনেমা আদলে বানাতে চান সেসময় তামিল ঘরাণা মাথায় রেখে ছবি বানানোটা কতটা সময়োপযোগী বলে মনে হয়েছে আপনার?

দেখুন হলিউডের আদলে সিনেমা বানানো আমাদের এখানে আদৌ কি সম্ভব? ওদের একটি সিনেমার বাজেটই তো আকাশ সমান। আর আমাদের এখানে সিনেমা বানানো হয় এক থেকে দুই কোটির মধ্যে। তারপরও অনেকে বড় বড় কথা বলেন। হলিউডের কপি, হলিউডের কালার এসব বলে থাকেন। কিন্তু আমাদের ছোট একটা দেশের ছোট একটা মিডিয়ায় সেসব বলতে গেলে সম্ভব নয়। আর আমাদের এখানে ছবি বানাতে হয় এক দুই কোটির মধ্যে। এই স্বল্প বাজেটেও আমি মনে করি রাগী সিনেমাটা ভালো একটা ছবি।

বর্তমানে দেশের চলচ্চিত্রে সুদিন বইছে। দীর্ঘদিন পর হলমুখী হয়েছেন দর্শক। এই ধারা অব্যহত রাখতে রাগী কতটা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন?

রাগী অবশ্যই দর্শককে হলমুখী করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। কেননা চলচ্চিত্রশিল্পকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে বাণিজ্যিক সিনেমা। রাগীও ঠিক তেমনই একটি ছবি। আমাদের দর্শকরা সাধারণত অ্যাকশনধর্মী ছবি বেশি পছন্দ করেন। তাছাড়া দর্শক হলে টানতেও এ ধরণের সিনেমার বিকল্প নেই। সেই জায়গা থেকে বলব দর্শককে হলে আনতে ছবিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

দর্শকের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন

দর্শকের উদ্দেশ্যে বলব, আপনারা সবাই রাগী দেখতে হলে আসুন। আপনারা যে ধরণের সিনেমা চান এটি তেমনই একটি ছবি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

9 − 2 =