রান পাহাড়ের চাপে টিকে থাকার সংগ্রামে বাংলাদেশ

সালেক সুফী

প্রথম দিনে কিছুটা কোনঠাসা পাকিস্তান দ্বিতীয় দিনে মোহাম্মদ রিজওয়ান (১৭১*) এবং সাউদ শাকিলের (১৪১) ৫ম উইকেট  বিশাল ২১০ রানের জুটির কল্লানে চালকের আসনে উপনীত হয়েছে। ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৪৮ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ১২ ওভার খেলে বিনা উইকেটে ২৭ রান করেছে বাংলাদেশ।

উইকেট থেকে বোলাররা কোনো সহায়তা পাচ্ছে না। তবে আছে বিশাল স্কোর তাড়া করে টিকে থাকার মানসিক চাপ। বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে নিজেদের প্রয়োগ করে খেললে ম্যাচে টিকে তাকবে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

তবে শাহীন আফিদি, নাসিম শাহের মত বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানদের সামাল দেওয়া যে কোনো উইকেটে কঠিন কাজ। সঙ্গে আছে খুররম সাজ্জাদ এবং মোহাম্মদ আলীর মত উঠতি প্রতিভা। বল এখনো নতুন। তৃতীয় দিনের সকালের সেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  বাংলাদেশের টপ অর্ডার ধৈর্য্য বজায় রেখে খেলতে পারলে অভিজ্ঞ মানসম্পন্ন মিডল অর্ডার দলকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাখবে বলে ভরসা করা যায়।

দ্বিতীয় দিন সকালে বাংলাদেশের সুযোগ ছিল চট জলদি রিজওয়ান অথবা সাউদ শাকিলকে ফিরিয়ে পাকিস্তান ইনিংসকে সীমিত রাখার। কিন্তু শুরু থেকেই এই জুটি নিজেদের সামলে রেখে প্রতিআক্রমণ করে বাংলাদেশ বোলারদের উপর চড়াও হয়।

৫ম উইকেট জুটিতে ২৪০ রান যোগ হওয়ায় পাকিস্তান ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেয়. তরুণ শাকিল ২৮১ বলে ১৪১ রান করার পথে পাকিস্তান খেলোয়াড়দের মধ্যে দ্রুততম ১০০০ টেস্ট রান করার মাইল ফলকে পৌঁছে।

মারকুটে রিজোয়ান নিজের আক্রমণাত্মক মূর্তিতে সক্রিয় থেকে ১৭১ রানে অপরাজিত থাকে। ৬ উইকেট ৪৪৮করার পর ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। উইকেট থেকে বাংলাদেশের পেসার বা স্পিনার কোন ধরনের সহায়তা পায়নি।

জানিনা মূলত পেস নির্ভর পাকিস্তান আক্রমণ কতটা সুবিধা পাবে তৃতীয় দিনে। দলে স্পিনার বলতে আছে সালমান আগা।  বাংলাদেশ লম্বা ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে লড়াই করতে অসুবিধা দেখছি না।

শান্ত, মোমিনুল, মুশফিক, সাকিব, লিটন, মেহেদী অন্তত দুটি লম্বা পার্টনারশিপ আশা করা যেতেই পারে। তবে বুঝতে হবে পুরোনো বলে রিভার্স সুইং করবে পাকিস্তান বোলাররা।  আশা করি আজ খেলা ব্যাট বলের যুদ্ধে জমে উঠবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

seventeen − 6 =