আরণ্যক প্রযোজিত নাটক ‘রাঢ়াঙ’ ২০০তম প্রদর্শনীর মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছে। বিশেষ প্রদর্শনীতে আবারও মঞ্চে ফিরছে চঞ্চল চৌধুরীসহ নাটকটির পুরনো টিম। সাঁওতালদের জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাত এবং সংগ্রামের চিত্র নিয়ে ‘রাঢ়াঙ’ নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন মামুনুর রশীদ। দেশ বিদেশের বিভিন্ন মঞ্চে প্রদর্শিত হয়েছে নাটকটি। ভারতের দিল্লি, কেরালা ও দক্ষিণ কোরিয়ার তিনটি আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবে নাটকটি প্রদর্শিত হয়েছে।
এই নাটকে চঞ্চল, আ খ ম হাসান ছাড়াও অভিনয় করবেন মামুনুর রশীদ, শামীম জামান, জয়রাজসহ অনেকে। নাটকটিতে শ্যামলি চরিত্রে অভিনয় করছিলেন তমালিকা কর্মকার। বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করার কারণে বিশেষ প্রদর্শনীতে থাকছেন না তিনি।
নাট্যকার ও নির্দেশক মামুনুর রশীদ বলেন, ২০০০ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের নওগাঁয় আলফ্রেড সরেনের নেতৃত্বে ভূমির জন্য লড়াই ও আলফ্রেড সরেনের আত্মত্যাগ, সাঁওতালদের দীর্ঘ সংগ্রামের বিশাল উত্তরাধিকারকে মঞ্চে তুলে ধরার প্রয়াসই ‘রাঢ়াঙ’।
ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে যারা প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধে রুখে দাঁড়ায় তারা সাঁওতাল। ১৭৮৪ সালে হাজারীবাগ জেলার কালেক্টর ক্লিভল্যান্ডকে হত্যার মাধ্যমে এর সূত্রপাত। তারপর ১৮৫৫ সালে সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরবের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে ‘সাঁওতাল বিদ্রোহ’, যার পরবর্তী অধ্যায় সর্বভারতীয় প্রতিরোধ এবং ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ।
এ অঞ্চলের আদিবাসীদের ভূমির অধিকারের লড়াইয়ে সাঁওতালদের অবদান একটি কিংবদন্তিসম উপাখ্যান। ভারত বিভক্তির পর ইলা মিত্রের নেতৃত্বে নাচোলের কৃষক আন্দোলনে সাঁওতালদের ভূমিকা আজও সংগ্রামী কৃষক ও আদিবাসীদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে পথ দেখায়।