চিত্রনায়ক রিয়াজ আহমেদের বিরুদ্ধে ১ এপ্রিল ‘প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতা’র অভিযোগ তুলেছিলেন হারুনুর রশীদ কাজল (জ্যাম্বস্ কাজল) নামের এক পরিচালক। তখন রিয়াজ তার বিরুদ্ধে আনা যাবতীয় অভিযোগ আইনিভাবে মোকাবিলা করবেন বলে জানিয়েছিলেন।
পরিচালক জ্যাম্বস্ কাজলের বিরুদ্ধে ১৬ এপ্রিল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫ ও ২৯ ধারায় সাইবার ট্রাইব্যুনালে ঢাকায় একটি মামলা দায়ের করেন রিয়াজ। যার পিটিশন মামলা নং ১৬৭/২০২৩।
মামলা দায়ের করার পর রিয়াজ বলেন, যিনি আমাকে নোংরা উপাধি দিয়েছেন আমি মনে করি এগুলোতে আমার সম্মানহানি হয়েছে। শুরুতে বলেছিলাম এসবের বিরুদ্ধে মামলা করবো। আমি আমার কথা রেখেছি।
রিয়াজ আরও বলেন, দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে আইনের আশ্রয় নেওয়া আমার অধিকার। এজন্য আমি সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মামলা করেছি। বিজ্ঞ আদালত আমার মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই-কে তদন্তভার দিয়েছেন। আইনের প্রতি আমি আস্থাশীল। সত্য মিথ্যে কোনটি কি আদালত রায় দেবেন।
নিকট অতীতে চলচ্চিত্রাঙ্গানে আরও দেখা গেছে, সম্মানিত একাধিক শিল্পীর বিরুদ্ধে হঠাৎ কেউ কেউ লিখিতভাবে গুরুতর অভিযোগ জমা দেন। সেগুলো যাচাই-বাছাই করার আগেই ফলাও করে খবর প্রকাশ হয়। শুধুমাত্র একপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে সেইসব শিল্পীকে তুলোধুনো করে কাঠগড়ায় তোলা হয়।
রিয়াজ বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করেছেন, আসামী হারুন অর শরীদ ওরফে জ্যাম্বস্ কাজল ৩১ মার্চ তার বিরুদ্ধে ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট দিয়ে সামাজিকভাবে হেয়, হেনস্থা ও হীন উদ্দেশ্যে মিথ্যে মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে একটি পোস্ট দেন।
পহেলা এপ্রিলে এফডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে রিয়াজের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করেন হারুনুর রশীদ কাজল (জ্যাম্বস্ কাজল)।
রিয়াজ মনে করেন, এসব অভিযোগ একতরফা নিউজে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়, যার ফলে রিয়াজকে চরমভাবে ইমেজ ক্ষতি মুখে পড়তে হয়েছে।
মামলাটি আদালত গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে ‘পিবিআই’র আছে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। তদন্ত সাপেক্ষে ১৩ জুলাইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।