বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের মুগ্ধ করলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা। ‘মৈত্রী দিবস ২০২১’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তার পরিবেশনা প্রবাসী ও বিদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মন ছুঁয়েছে। যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও ভারতীয় হাইকমিশন যৌথভাবে এর আয়োজন করে।
লন্ডন ম্যারিয়ট হোটেল গ্রসভেনর স্কয়ারে গত ৬ ডিসেম্বর ওয়েস্টমিনস্টার বলরুমে মৈত্রী দিবস অনুষ্ঠানে দুটি গান গেয়ে শুনিয়েছেন রুনা লায়লা। এগুলো হলো ‘গঙ্গা আমার মা’ এবং ‘দমাদম মাস্ত কালান্দার’। শেষ গানটি পরিবেশনের সময় মঞ্চে তার দু’পাশে এসে নৃত্যশিল্পীরা নেচেছেন।
সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী গায়িকা রুনা লায়লা জানান, বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতি সংবলিত একটি চিত্রকর্ম উন্মোচন করেন দুই দেশের হাইকমিশনার। ছবিটিতে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু ও মহাত্মা গান্ধীর মাঝে শান্তির পায়রা উড়ছে। মুজিববর্ষ ও মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে মৈত্রী দিবস অনুষ্ঠানে।
রুনা লায়লা আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে ভারত কতটা সহযোগিতা করেছে ইতিহাসে তা লেখা আছে। সেই বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্ণ হলো। তাই অনুষ্ঠানের লোগো সাজানোর ক্ষেত্রে ৫ সংখ্যাটিতে বাংলাদেশের পতাকা এবং ০ সংখ্যাটি তুলে ধরতে ভারতের পতাকা ব্যবহার করা হয়েছে। মঞ্চে ডিজিটাল পর্দায় ছিল দুই দেশের পতাকা। এছাড়া দুই পাশে দুই দেশের পতাকা রাখা হয়। সব মিলিয়ে দেশের বাইরে আছি মনেই হয়নি।’
করোনার কারণে দুই বছরেরও বেশি সময় মেয়ে-নাতিদের কাছে যেতে পারেননি রুনা লায়লা। মেয়ে তানি লায়লা এবং দুই নাতি জেইন ইসলাম ও অ্যারন ইসলামের সঙ্গে সময় কাটাতে গত ১৯ নভেম্বর লন্ডনে যান তিনি। এবার লম্বা সময় তাদের কাছে থাকতে চান বরেণ্য এই সংগীতশিল্পী।
বাংলা ট্রিবিউন