লর্ডস টেস্টে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিনটি ইংল্যান্ডের জন্য ছিল রেকর্ড ও অর্জনের দিন। উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান জেমি স্মিথ এবং অভিজ্ঞ ব্যাটার জো রুট-দুজনই ছুঁয়েছেন ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
শুক্রবার (১১ জুলাই) মোহাম্মদ সিরাজের করা দারুণ শট থেকে পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে স্মিথ পৌঁছে যান টেস্ট ক্রিকেটে এক হাজার রানে। মাত্র ২১ ইনিংসে এই মাইলফলকে পৌঁছে তিনি ছুঁয়ে ফেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি ককের দ্রুততম এক হাজার রানের রেকর্ড-উইকেটকিপার হিসেবে।
ইংল্যান্ডের উইকেটকিপারদের মধ্যে আগের দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ড ছিল জনি বেয়ারস্টোর (২২ ইনিংস)। স্মিথ সেই রেকর্ডও ভেঙেছেন। এছাড়া বল খেলার হিসাবেও স্মিথ এখন শীর্ষে-মাত্র ১,৩০৩ বলে এই রেকর্ড গড়েছেন তিনি, যা আগের রেকর্ডধারী সারফারাজ আহমেদের (১,৩১১ বল) চেয়ে কম।
স্মিথের অভিষেকও হয়েছিল এই লর্ডসেই, মাত্র এক বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এরপর থেকেই ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে চলেছেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে চলতি সিরিজেও ছিলেন অসাধারণ ফর্মে-হেডিংলিতে করেন ৪০ ও ৪৪*, এজবাস্টনে অপরাজিত ১৮৪ ও ৮৮ রান, আর লর্ডসে করেন ৫১।
জো রুটের জন্যও দিনটি ছিল স্মরণীয়। প্রথম দিন শেষে ৯৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি, আর দ্বিতীয় দিনের প্রথম বলেই যশপ্রীত বুমরার বলে চার মেরে পূর্ণ করেন নিজের ৩৭তম টেস্ট সেঞ্চুরি।
এই ইনিংসের মাধ্যমে রুট এখন টেস্ট ইতিহাসে পঞ্চম সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক। তিনি ছাড়িয়ে গেছেন রাহুল দ্রাবিড় ও স্টিভেন স্মিথকে (উভয়ের ৩৬টি করে)। তার সামনে এখন রয়েছেন কেবল কুমার সাঙ্গাকারা (৩৮), রিকি পন্টিং (৪১), জ্যাক ক্যালিস (৪৫) ও শচীন টেন্ডুলকার (৫১)।
রুটের জন্য আরও একটি রেকর্ড হলো-লর্ডসে টানা তিন ইনিংসে সেঞ্চুরি করার কীর্তি। এর আগে ইংল্যান্ডের হয়ে কেবল জ্যাক হবস ও মাইকেল ভনই এ অর্জনে পৌঁছেছিলেন। ভারতের বিপক্ষে এটি রুটের ১১তম সেঞ্চুরি, যা অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথের সঙ্গেও যৌথ সর্বোচ্চ। তবে স্মিথের লেগেছিল ৪৬ ইনিংস, রুটের লেগেছে ৬০। রুটের ইনিংসটি এসেছে ধীরগতিতে, ১৯২ বলে ১০৪ রান, যা ‘বাজবল’ যুগে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তৃতীয় ধীরতম সেঞ্চুরি।