সিরিজের শুরুতে বৃষ্টি জিতিয়ে দেয় আফগানিস্তানকে। দ্বিতীয় ম্যাচে মোস্তাফিজদের এলোমেলো বোলিং কাল হয়ে দাঁড়ায়। বড় ব্যবধানে হেরে হারাতে হয় সিরিজটি। তবে শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। দাপুটে বোলিংয়ের পর দুর্দান্ত ব্যাটিং লিটন দাসের। তার ফিফটিতে ভর করে শেষ ম্যাচে ৭ উইকেটের সান্ত্বনার জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা।
জিয়া-উর-রেহমানের বলে দুর্দান্ত কাট শটে তাওহিদ হৃদয়ের বাউন্ডারিতে নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের জয়। ৭ উইকেটের এই জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারল তারা।
সাকিব আল হাসান আউট হওয়ার পর লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয়ের অবিচ্ছিন্ন জুটি দলকে নিয়ে গেল জয়ের ঠিকানায়। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৪০ রান এলো ৩৮ বলে। বাংলাদেশ জিতে গেল ২৩.৩ ওভারে। ৬০ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়লেন লিটন, ১৯ বলে ২২ হৃদয়।
তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটা ছিল বাংলাদেশের হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াই। শেষ পর্যন্ত সেই লজ্জা এড়াতে পেরেছে আফগানদের ৭ উইকেটে হারিয়ে। ১২৭ রানের মামুলি লক্ষ্যের বিপরীতে খেলতে নেমে আধিপত্য দেখাতে পেরেছে স্বাগতিক দল। বাংলাদেশ ১৫৯ বল হাতে রেখে তৃতীয় ওয়ানডে জেতায় সিরিজ ২-১ ব্যবধানে শেষ করেছে সফরকারী দল।।
দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ ইনিংসের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেয় সাকিব-লিটনের প্রতিরোধে। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৬১ রান যোগ করেন তারা। মনে হচ্ছিল এই জুটিতেই বুঝি বাংলাদেশ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়বে। কিন্তু ৮৯ রানে উঠিয়ে মারতে গিয়ে ৩৯ রানে আউট হন সাকিব আল হাসান। তার ৩৯ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার।
শুরুতে নাঈম শেখ শূন্য রানে ফিরলেও রানের চাকা সচল হয়ে ওঠে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লিটন দাসের ব্যাটে। মাঝে শান্ত কিছুক্ষণ অবদান রাখলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তবে ধীরে ধীরে লিটন খোলস ছেড়ে বের হওয়ায় পাওয়ার প্লের দশ ওভারে ২ উইকেটের বিনিমিয়ে যোগ হয়েছে ৪৩ রান। ১২ ওভারে পঞ্চাশ ছাড়ায় দলের স্কোর।
শুরুতে ধাক্কা খাওয়ার পর নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস মিলে রান তোলার চেষ্টায় মনোযোগী ছিলেন। কিন্তু রান তোলার চেষ্টায় মনোযোগী শান্ত বলের লাইন বুঝতে না পারার খেসারত দিয়েছেন সপ্তম ওভারে। ফারুকির ফুলার লেংথের বল ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন। বল ভেতরে ঢুকে পড়ায় পুরোপুরি ব্যর্থ হন তাতে। বোল্ড হয়ে ১১ রানে ফিরেন শান্ত।
১২৭ রানের ছোট লক্ষ্য। তার পরেও শুরুটা ভালো মতো হলো না বাংলাদেশের। নাঈম শেখের আত্মাহুতিতে তৃতীয় ওভারে পড়েছে প্রথম উইকেট। আত্মাহুতি এজন্যই বলা হচ্ছে শরীর থেকে অনেক বাইরে বল করেছিলেন পেসার ফজল হক ফারুকি। অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল খেলতে গেলে বল তার ব্যাটের কানায় লেগে আঘাত করে স্টাম্পে। তাতে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেন নাঈম।