লিটন দাসের ব্যাটিং ও থিসারা পেরেরার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বিপিএলে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। টুর্নামেন্টে নিজেদের নবম ম্যাচে ঢাকা ৬ রানে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে। এতে হ্যাটট্রিক হারের স্বাদ পেল সিলেট।
৯ ম্যাচে ২ জয় ও ৭ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠস্থানে উঠলো ঢাকা। ৮ ম্যাচে ২ জয় ও ৬ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে পিছিয়ে টেবিলের তলানিতে নেমে গেল সিলেট।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আজ দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা ঢাকাকে ২৩ বলে ২৮ রানের শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও লিটন দাস। ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৬ বলে ২২ রানে আউট হন তানজিদ।
এরপর জেপি কোৎজি ৯ ও মোসাদ্দেক হোসেন ৪ রানে আউট হলেও সাব্বির রহমানকে নিয়ে ৩৮ বলে ৪২ রানের জুটি গড়ে দলের রান ১’শতে নেন লিটন। ২ ছক্কায় ২১ বলে ২৪ রানে থামেন সাব্বির।
দলীয় ১০৪ রানে সাব্বির ফেরার পর ক্রিজে লিটনের সঙ্গী হন অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। ব্যাট হাতে সিলেটের বোলারদের উপর চড়াও হন লিটন ও পেরেরা। পঞ্চম উইকেটে লিটন-পেরেরার ২৮ বলে ঝড়ো ৮১ রানের জুটিতে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৬ রানের সংগ্রহ পায় ঢাকা।
৩৮ বলে টি-টোয়েন্টিতে ৩০তম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন লিটন। ১৯তম ওভারে পেসার রুয়েল মিয়ার বলে আউটের আগে ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৪৮ বলে ৭০ রান করেন লিটন। ৩টি করে চার-ছক্কায় ১৭ বলে ৩৭ রানে আউট হন পেরেরা। টিপু সুলতান ও সামিউল্লাহ শিনওয়ারি ২টি করে উইকেট নেন।
জবাবে পঞ্চম ওভারে ৩২ রানে ২ উইকেট হারায় সিলেট। ওপেনার জর্জ মুনসি ৩ ও জাকির হাসান ৮ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন।
তৃতীয় উইকেটে ৫৬ বলে ৮০ রানের জুটিতে সিলেটকে লড়াইয়ে ফেরা ওপেনার রনি তালুকদার ও অ্যারন জোন্স। এরমধ্যে ৩৩ বলে টি-টোয়েন্টিতে ১৪তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রনি।
রনির হাফ-সেঞ্চুরির পর জোন্সকে শিকার করে ঢাকাকে ব্রে-থ্রু এনে দেন পেরেরা। ৩টি চার ও ১ টি ছক্কায় ৩২ বলে ৩৬ রান করেন জোন্স। ৯টি বাউন্ডারিতে ৪৪ বলে ৬৮ রান করেন রনি।
১৬তম ওভারে রনি ফেরার পর জয়ের জন্য ২৭ বলে ৭০ রান দরকার ছিলো সিলেটের। পঞ্চম উইকেটে ১৯ বলে ৪২ রানের ঝড়ো জুটিতে সিলেটের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখেন জাকের আলি ও অধিনায়ক আরিফুল হক।
১৯তম ওভারে জাকেরকে হারায় সিলেট। ৫টি চারে ১৩ বলে ২৮ রান করেন জাকের। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২৩ রান দরকার ছিলো সিলেটের। পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের করা ঐ ওভার থেকে ২ উইকেটে ১৬ রান সংগ্রহ করে সিলেট। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ১৩ বলে ২৯ রান করেন আরিফুল।
ঢাকার মুস্তাফিজ ও পেরেরা ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন পেরেরা।