জনপ্রিয় শক্তিমান অভিনেতা আবুল খায়েরের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ২০০১ সালের, ২ ফেব্রুয়ারী, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ, পাকিস্তান সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ভাষণ রেকর্ড করেছিলেন। দেশ স্বাধীন হবার পর তিনি ছিলেন এফডিসি’র প্রথম এমডি। একবার বিদেশ সফরের সময় জাতির পিতা তাকে সফর সঙ্গী করেছিলেন।
অভিনয়ে সুনিপূণ দক্ষতার অধিকারী, সফল অভিনেতা আবুল খায়ের, চার চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। বাংলাদেশের প্রথম সবাক বাংলা চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এ (১৯৫৬ সালের ৩ আগস্ট, মুক্তিপ্রাপ্ত) তিনি সর্বপ্রথম অভিনয় করেন।জনপ্রিয় এই অভিনেতা আরো যেসব ছবিতে অভিনয় করেন সেগুলোর মধ্যে- কাঁচের দেয়াল, সংগম, সুতরাং, তিতাস একটি নদীর নাম, এখনই সময়, জন্ম থেকে জ্বলছি, লাল সবুজের পালা, পেনশন, সখিনার যুদ্ধ, সৎ ভাই, সাক্ষর, শত্রুতা, দহন, ন্যায় অন্যায়, জিনের বাদশা, পিতা-মাতা সন্তান, চন্ডীদাস ও রজকিনী, বন্ধু আমার, রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত, ভাবীর সংসার, দুখাই, নদীর নাম মধুমতি, পদ্মা নদীর মাঝি, দীপু নাম্বার টু, শিমুল পারুল, আয়না বিবির পালা, হিংসা, সে (স্বল্পদৈর্ঘ্য), চাকা, একাত্তরের যীশু, অবুঝ সন্তান, অন্য জীবন, শ্রাবণ মেঘের দিন, ইতিহাস কন্যা প্রভৃতি।
অভিনয়ে বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী আবুল খায়ের চলচ্চিত্রের পাশাপাশি বেতার ও টেলিভিশনে নিয়মিত অভিনয় করে গেছেন দাপটের সাথে । বিশেষকরে টেলিভিশন নাটকে তার বৈচিত্রময় অভিনয়শৈলী দারুনভাবে দাগ কেটেছে দর্শক-শ্রোতাদের মনে। আবুল খায়ের অভিনীত টেলিভিশন নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- এইসব দিনরাত্রি, বহুব্রীহি, নিমফুল, আজ রবিবার, পিতৃত্ব, দ্বিতীয় জন্ম, অয়োময়, প্রিয় পদরেখা ইতিকথা, হিমু, সমুদ্র বিলাস প্রাইভেট লিমিটেড, নক্ষেত্রের রাত ইইত্যাদি ।
অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি বেশকিছু প্রামাণ্যচিত্র ও তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন। তিনি কানাডার চলচ্চিত্র বোর্ডে যোগ দিয়ে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছিলেন।