শুভ জন্মদিন আফসানা মিমি

শোবিজের জনপ্রিয় মুখ আফসানা মিমি। মডেল, অভিনেত্রী, উপস্থাপিকা ও পরিচালক হিসেবে জনপ্রিয় তিনি। কয়েক দশক ধরেই তিনি মুগ্ধ করে রেখেছেন টিভি দর্শকদের। হুমায়ূন আহমেদের ‌‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকের বকুল চরিত্র দিয়ে তিনি আলোচনায় আসেন। সেই নাটকে তার মুখে ‘কেন কেউ বুঝতে চায় না আমি বড় হয়েছি’ সংলাপটি সব কিশোরীর হৃদয়ই ছুঁয়ে গিয়েছিল।

মিমির বাবা সৈয়দ ফজলুল করিম পানি উন্নয়ন বোর্ডে চাকরি করতেন। মা শিরীন আফরোজ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই অভিনেত্রী পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

নব্বই দশকে মিমির অভিনয়ের অভিষেক হয়েছিল বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মঞ্চে। অভিনেতা ও নির্দেশক সৈয়দ মাহিদুল ইসলামের ব্যতিক্রম নাট্যগোষ্ঠীর হয়ে অংশ নেন রাজদর্শন নাটকে। মনোজ মিত্রের লেখা সেই নাটকে তিনি রানির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তখন তার বয়স ১৮। তারপর থেকে নিজেকে একজন অভিনেত্রী হিসেবে মঞ্চে তিনি প্রতিষ্ঠিত করেন।

সেই সূত্র ধরেই টিভিতে প্রবেশ। ‘নক্ষত্রের রাত’, ‘বন্ধন’, ‘ডল’স হাউজ’, ‘কাছের মানুষ’ ইত্যাদি নাটকে মিমির অভিনয় উজ্জ্বল হয়ে আছে। তিনি বেশ কিছু চলচ্চিত্রেও অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন। সেগুলো হলো ‘নদীর নাম মধুমতি (১৯৯৪)’, ‘চিত্রা নদীর পাড়ে (১৯৯৯)’, ‘প্রিয়তমেষু (২০০৯)’।

আফসানা মিমি নির্মাতা হিসেবেও আলাদাভাবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছেন। তার পরিচালনায় ‘পৌষ ফাগুনের পালা’ ধারাবাহিক নাটকটি দারুণ জনপ্রিয়তা পায় এটিএন বাংলায় প্রচার হলে। তিনি ‘মনের কথা’ নামের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থাপনাও করেও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।

বর্তমানে অভিনয়ে অনিয়মিত তিনি। তবে চলচ্চিত্র নিয়ে তার অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন একটি চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রনাট্য লিখছেন। ২০০৬ সালে এই চিত্রনাট্যের গল্প তার ভাবনায় আসে। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে লেখা হয়ে ওঠেনি। আর এই চিত্রনাট্য লেখা শেষ হলে সিদ্ধান্ত নেবেন, এই চিত্রনাট্য থেকে নিজে নাকি অন্য কোনো নির্মাতা চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন।

চলতি বছরে আফসানা মিমি বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন একাডেমি (বিএফটিএ) নামে একটি প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছেন। ‘অভিনয় বিষয়ক তিন মাসের বেসিক ওরিয়েন্টেশন কোর্স’-এর মাধ্যমে গত ২৯ জুলাই থেকে এর যাত্রা শুরু হয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

18 − 8 =