সবার কাছে তিনি অতি আদরের পরাণ দা। বুড়ো থেকে ছোট, সবাই তাকে এই নামেই ডাকেন। তিনিও সারা দেন সদা হাস্যোজ্জ্বল মুখে। বলছি কলকাতার বিখ্যাত অভিনেতা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা। আজ এই অভিনেতার ৮১ তম জন্মদিন। শুভ জন্মদিন।
জীবনের এত দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েও সুস্থ-সবল প্রাণ নিয়ে বেঁচে আছেন ওপার বাংলার অভিনয়ের পরাণ। এখনো তিনি নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন সিনেমা-নাটকে কখনো কুটিল বৃদ্ধ, কখনো প্রতিবাদী যুবক, কখনোবা মাঝবয়সি খিটখিটে বাড়িওয়ালার চরিত্রে।
বাংলাদেশের যশোর জেলার ছেলে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ১৯৪০ সালের ১৮ অক্টোবর এ জেলায় জন্মে গ্রহন করেন। শৈশবেই মা-বাবাকে হারিয়ে অনিশ্চিত জীবনের মুখোমুখি হন। পরে কলকাতার দমদমের বীরপাড়ায় তার পিসির কাছে চলে যান। সেখানেই মানুষ হন তিনি। কলেজে পড়াকালীন বিভিন্ন দলের সাথে যুক্ত থেকে গণনাট্য, নাটক, যাত্রা, থিয়েটার করার মধ্য দিয়ে অভিনয়ের জগতে প্রবেশ করেন। মঞ্চে কাজ করার সেইসব দিনগুলো ছিলো সংগ্রামের। অভাবের সঙ্গে, নানা সংকটের ভিড়ে টিকে থাকার সঙ্গে। ক্যারিয়ারকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার সেই সংগ্রাম। সে সংগ্রামে তিনি জয়ী হয়েছেন পরিশ্রম, ধৈর্য ও সাধনায়।
তিনি প্রথম বড় পর্দায় হাজির হন ২০০০ সালে ‘দেখা’ নামক একটি শর্ট ফিল্ম দিয়ে। তারপর একে-একে মন্দ মেয়ের উপাখ্যান, বোম্বাইয়ের বোম্বেটে, হচ্ছেটা কি, টিনটোরেটোর যিশু, দ্য জাপানিজ ওয়াইফ, গোঁসাইবাগানের ভুত, রয়্যাল বেঙ্গল রহস্য, বিন্দাস প্রেম, প্রলয়, চলো পটল তুলি, ভুতের ভবিষ্যৎ, যেখানে ভুতের ভয়, কিডন্যাপার, বাদশাহী আংটি-র মতো বহু বিখ্যাত ছবিতে সাবলীল অভিনয় দিয়ে দর্শক মাতিয়েছেন। তার অনবদ্য হাস্যকৌতুক ভরা সংলাপ মুগ্ধ করেছে জি বাংলায় জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘মিরাক্কেল’-এর মঞ্চে। তার মুখে ‘ভালো হয়েছে তবে আরও ভালো করতে হবে’- সংলাপটি খুবই জনপ্রিয়।আবারো শুভ জন্ম দিন বেছে থাকবে পরানদা হাসি মাখা মুখ নিয়ে।