সালেক সুফী
জুন ২০২৪ যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি টি ২০ বিশ্বকাপ সামনে রেখে আজ চট্টগ্রামের সাগরিকায় জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হতে চলেছে ৫ ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক টি ২০ সিরিজ। প্রতিপক্ষ হিসাবে জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের প্রায় সমশক্তির দল। তবে দেশের মাটিতে স্বাভাবিক ভাবেই বাংলাদেশ এগিয়ে আর তাই সিরিজে ফেভরিট। টি ২০ বিশ্বকাপের জন্য অধিকাংশ দল স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। জানা মতে বিসিবি একটি প্রাথমিক স্কোয়াড বিষয়ে আইসিসিকে জানিয়েছে। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের স্কোয়াডের সঙ্গে সাকিব এবং মুস্তাফিজ একপর্যায়ে যুক্ত হবে। এদের থেকেই নির্বাচিত হবে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সাদা বলের বৈষয়িক টুর্নামেন্টে কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। এবারের টুর্নামেন্টে মেধাবী তরুণ এবং কয়েকজন অভিজ্ঞ প্রবীনের সমন্বয়ে গড়া দল নিয়ে আশাবাদী হবার কারণ থাকলেও প্রস্তুতি কতটা উপযোগী হচ্ছে সেই বিষয়ে সংশয় আছে। দলের কোচিং স্টাফ নিয়ে নানা বিতর্ক আছে। তামিম ইকবাল প্রসঙ্গ এখনো অমীমাংসিত। আইপিএলে ভালো খেলতে থাকা মুস্তাফিজকে ফিরিয়ে আনা বিষয়েও দ্বিমত আছে। এমতাবস্থায় জিম্বাবুয়ের মত তুলনামূলক দুর্বল দলের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলে বাংলাদেশের কতটা আদর্শ প্রস্তুতি হবে সেটি নিয়ে সঙ্গে সংশয় থেকেই যায়।
সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের বাংলাদেশ স্কোয়াড:
নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান তামিম, জাকের আলী অনিক, পারভেজ হোসেন ইমন, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। আফিফ হোসেন, মাহেদী হাসান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, তাসকিন আহমেদ,শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান শাকিব, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম।
প্রথম তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে। হয়তো ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য শেষ দুটি ম্যাচে সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান ছাড়াও বিশ্বকাপে বিবেচনায় থাকা এক দুইজন খেলোয়াড়কে পরখ করা হবে।
সাধারণ ভাবে আমি বর্তমান অবস্থার বিবেচনায় বাংলাদেশ স্কোয়াডকে যথাযথ মনে করি। সমস্যা বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি এবং টপ অর্ডার ব্যাটিং নিয়ে। লিটনের ধারাবাহিকতার অভাব, তানজিদ তামিম, পারভেজ ইমনকে আরো আগে থেকে সুযোগ দিয়ে পরিণত করা উচিত ছিল। প্রকৃত পক্ষে ওপেনার হিসাবে এখনো কেউ তামিম ইকবালের বিকল্প হয়ে উঠতে পারেনি, বিসিবি কেন তামিম বিষয়টি সুরাহা করলো না। দেশের থেকে বড় কেউ বা কিছু হতে পারে না। ওপেনিং জুটি এবং টপ অর্ডার ধারাবাহিক না হলে বাংলাদেশ বিপদে পড়বে। শান্ত, হৃদয়, মাহমুদুল্লাহ, জাকের অনিক, রিশাদকে নিয়ে গোড়া ব্যাটিং নিয়ে ভরসা করা যায়। সাকিব যুক্ত হলে এবং সৌম্য ফিটনেস ফিরে পেলে ব্যাটিং সুসংহত হবে। হয়তো অভিজ্ঞতা এবং বিশ্বকাপের উইকেট গুলোতে স্পিনার সহায়তা বিবেচনা করে মেহেদী মিরাজকেও সুযোগ দেয়া উচিত হবে। তাসকিন শরিফুল পেস বোলিং নেতৃত্ব দিবে। সঙ্গে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের মত পেস বোলিং অলরাউন্ডারকে দলে ফিরিয়ে আনা যুক্তি যুক্ত হয়েছে। আশা করি চূড়ান্ত স্কোয়াড নির্বাচনে গাজী আশরাফ লিপু প্রভাব মুক্ত হয়ে বিচক্ষণতার পরিচয় দিবে। দল নিয়ে কোন বিতর্ক সৃষ্টি হবে না। বাংলাদেশ দলের জন্য শুভ কামনা।