সালেক সুফী
যে দল নিয়ে অনেকেই বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখেছে এই কিছুদিন আগে সেই দলটি এশিয়া কাপ মিশনে প্রথম খেলায় শ্রীলংকার বিরুদ্ধে ৫ উইকেটের বিশাল ব্যাবধানে শোচনীয় পরাজয় বরণ করে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিঠকে পড়ার উপক্রম।
সবাই জানে কার পরিকল্পনায়, কার কৌশলে বিশ্বমানের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের নানা ফন্দি ফিকির করে দল থেকে ছেটে ফেলে আনকোরা নবীনদের নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে বাংলাদেশ।
চাকরি রক্ষার তাগিদে মেরুদন্ডবিহীন নির্বাচকমন্ডলী ভুল স্কোয়াড নির্বাচন করে অজুহাত খোঁজে। টিম ম্যানেজমেন্ট, পরিচালক (টিম অপারেশন) স্কোয়াড বিষয়ে দায়িত্ব নিতে চায় না।
প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত কথা বলে সংকটের সৃষ্টি করে বিসিবি সভাপতি। অনেক নাটক, অনেক বিতর্কের পর নির্বাচিত স্কোয়াড থেকে কাল যে একাদশ খেলানো হলো সেখানে টপ অর্ডার বিশেষত ওপেনিং পার্টনারশিপ সফল হবার সুযোগ ছিল না।
মোহাম্মদ নাঈম অনেক সুযোগেও সফল হয়নি, তানজিদ তামিম আনকোরা নবীন। শ্রীলংকা দলে মাহেশ থাকসিনা থাকা সত্ত্বেও কেন টপ অর্ডারে পর পর চারজন বাম হাতিকে খেলানো হলো? মাহমুদুল্লাহ দলে না থাকায় প্রথম বিকল্প হিসাবে খেলানো উচিত ছিল আফিফকে।
প্রয়োজনে আফিফকে প্রমোট করে উপরে খেলানো যেত। কি লাভ হয়েছে শেখ মাহেদিকে খেলিয়ে? বলছি না এগুলো ঠিক হলেই সব কিছু পাল্টে যেত। কেন দ্বিতীয় দফায় আসার পর স্বেচ্ছাচারী হেড কোচকে একের পর এক বিতর্কিত পরীক্ষা নিরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হলো? কি রহস্য লুকিয়ে ছিল মিডিয়াকে আড়াল করে কয়েকদিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবিরে?
ভেবে দেখুন কাল যখন করছিলো নাজমুল হোসেন শান্ত তখন ৭ নম্বরে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ থাকলে দল ৫০ ওভার হয়তো খেলতো, হয়তো শান্তর শত রান হত, দলের সংগ্রহ ২২০-২৩০ হতেও পারতো। আর তাহলে অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ হতেও পারতো।
দুদিন বাদেই আফগানিস্তানের সাথে কর না হয় মর ম্যাচ। হেরে গেলেই শূন্য হাতে ফিরবে বাংলাদেশ ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করে। ১৭ কোটি মানুষের স্বপ্নভঙ্গ হবে। কিছুই হবে না মূল্যবান হেড কোচ পরদেশী হাতুরাসিংহের। নির্লজ্জের হাসি হাসবে নির্বাচকমণ্ডলী। উদোর পিন্ডি বুদোর ঘরে দিবে বিসিবি প্রধান।
মেধাবী যে তরুণদের পরীক্ষা করার জন্য দলে সুযোগ দেওয়া হয়েছে তাদের চলার পথ কঠিন হয়ে যাবে। হতাশাগ্রস্থ বাংলাদেশ বিশ্বকাপে মিশনে আরো কঠিন হয়ে পড়বে।
সালেক সুফী: আন্তর্জাতিক ক্রীড়া বিশ্লেষক