সংগীতশিল্পী কাজী কৃষ্ণকলি ইসলামের জন্মদিন আজ

কাজী কৃষ্ণকলি ইসলাম হলেন একজন বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী ও গীতিকার। তিনি ২০০৭ সালে সূর্যে বাঁধি বাসা অ্যালবাম দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৯ সালে তিনি এই অ্যালবামের “যাও পাখি” গানের জন্য মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন। পরের বছর মনপুরা চলচ্চিত্রে “যাও পাখি বলো তারে” গানে কণ্ঠ দিয়ে তিনি প্রথমবারের মত শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

কৃষ্ণকলির জন্মনাম ছিল কাজী শ্রাবন্তী ইসলাম। তিনি যখন ছোট তখন খুলনায় এক রবীন্দ্রজয়ন্তীতে শান্তিদেব ঘোষ “কৃষ্ণকলি আমি তারে বলি” গানটি গেয়েছিলেন। সেখান থেকে তার মা মেহেরুননেসার নামটি ভালো লাগে এবং মেয়ের নাম পরিবর্তন করে রাখেন কাজী কৃষ্ণকলি ইসলাম। কৃষ্ণকলি খুলনায় বেড়ে উঠেন। তার মা খুলনার একটি কলেজের বাংলার শিক্ষক। কৃষ্ণকলির পছন্দ ছিল রবীন্দ্র সঙ্গীত। তিনি সাধন ঘোষের কাছে রবীন্দ্র সঙ্গীত এবং বসুদেব বিশ্বাসের কাছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম নেন। পরে ১৯৯৮ সালে তিনি ছায়ানটে রবীন্দ্র সঙ্গীত বিভাগে ভর্তি হন এবং তিনি বছর রবীন্দ্র সঙ্গীতের তালিম নেন।

কৃষ্ণকলির প্রথম একক অ্যালবাম সূর্যে বাঁধি বাসা বেঙ্গল মিউজিকের ব্যানারে ২০০৭ সালে প্রকাশিত হয়। অ্যালবামটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব। এই অ্যালবামের “যাও পাখি” গানের জন্য তিনি ১১তম মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ গায়িকা বিভাগে প্রথমবারের মত মনোনয়ন পান এবং পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৯ সালে তিনি গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত মনপুরা চলচ্চিত্রে “যাও পাখি বলো তারে” গানে কণ্ঠ দেন এবং চন্দনা মজুমদারের সাথে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

two × three =