সংগীতশিল্পী তিমির নন্দীর জন্মদিন আজ

বাংলা সংগীতের অন্যতম শিল্পী তিমির নন্দীর জন্মদিন আজ। মাত্র তিন বছর বয়সেই নিজে নিজে তবলা বাজাতে শেখেন শিল্পী তিমির নন্দী। ১৯৬৯ সাল থেকে বেতার ও টেলিভিশনে গান করছেন তিনি। তার কিছুদিন পরেই মুক্তিযুদ্ধ শুরু। তিমির নন্দীও যুদ্ধে জড়িয়ে যান। অস্ত্র দিয়ে নয়, কণ্ঠ দিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন তিনি। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে গলা ছেড়ে গেয়েছেন। মুক্তিকামী যোদ্ধাদের দিয়েছেন অনুপ্রেরণা।

তিমির নন্দী ১৯৭৩ সালে সংগীত কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন সরকারের বৃত্তি পেয়ে মিউজিকে উচ্চশিক্ষার্থে রাশিয়া চলে যান। সেখানে তিনি মিউজিকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম শিল্পী, যিনি ইউরোপ থেকে সংগীতে মাস্টার্স করেছেন। তাঁর বেশ কয়েকটি একক, দ্বৈত ও যৌথ গানের ক্যাসেট ও সিডি প্রকাশিত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে দেশে ফিরে নিয়মিত সংগীতচর্চা করেন। তাঁর গাওয়া ‘ওগো চাঁদ কোথায় পেয়েছ এত আলো’, ‘বাঁধন খুলে দিলাম’, ‘চাঁদের পানে চেয়ে চেয়ে’, ‘মনোবীণাতে রয়ে রয়ে’, ‘ঝর ঝর বারিধারা সন্ধ্যায়’, ‘এ আমার জীবন ধোয়া শ্রেষ্ঠ পরিচয়’ ও ‘তোমারে লেগেছে এত যে ভালো’ শিরোনামের গানগুলো এখনো শ্রোতাদের মুখে মুখে ফেরে। গানে গানেই কাটে তাঁর জীবন। তিনি সংগীতজীবনের এই দীর্ঘ যাত্রা সম্পর্কে বলেন, ‘নিজেও ভাবতে পারছি না এত দিন ধরে গাইছি। আমার থেকেও বয়োজ্যেষ্ঠ আরও অনেকেই গাইছেন, কিন্তু নিজের ব্যাপারটা একটু মিরাকলই মনে হয়।’

বর্ণাঢ্য এই সংগীতজীবনের সুবর্ণজয়ন্তীতে নতুন একটি অ্যালবাম নিয়ে আসছেন তিমির নন্দী। ১১ অক্টোবর ‘মেঘলা দু’চোখ’ শিরোনামের অ্যালবামটি প্রকাশ পাবে অডিও-ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি সিরিজের ব্যানারে। এটি দীর্ঘ ১০ বছর পর তাঁর নতুন অ্যালবাম। এর আগে ২০০৯ সালে সংগীতজীবনের ৪০ বছর পূর্তিতে একটি অ্যালবাম প্রকাশ করেছিলেন।

তিমির নন্দীর বেশ কয়েকটি একক, দ্বৈত ও যৌথ গানের ক্যাসেট ও সিডি প্রকাশিত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে দেশে ফিরে নিয়মিত সংগীতচর্চা করেন। তার গাওয়া ‘ওগো চাঁদ কোথায় পেয়েছ এত আলো’, ‘বাঁধন খুলে দিলাম’, ‘চাঁদের পানে চেয়ে চেয়ে’, ‘মনোবীণাতে রয়ে রয়ে’, ‘ঝর ঝর বারিধারা সন্ধ্যায়’, ‘এ আমার জীবন ধোয়া শ্রেষ্ঠ পরিচয়’ ও কভার সং ‘তোমারে লেগেছে এত যে ভালো’ শিরোনামের গানগুলো এখনো শ্রোতাদের মুখে মুখে ফেরে। এখনও তিনি বেতার-টেলিভিশনে নিয়মিত সংগীত পরিবেশন করছেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

five × two =