মেহরীন মাহমুদ। নাম শুনলেই এক ধরনের নরম কোমল মুখচ্ছবি ভেসে ওঠে চোখের সামনে। ছবির মতোই ভদ্র, শান্তশিষ্ট মেয়ে তিনি। কারো সাতে নেই, পাঁচেও নেই। নেই কোনো গুজব কিংবা গুঞ্জন। আর দশ জন কণ্ঠশিল্পীদের মতো হুট-হাট অ্যালবাম বের করা অথবা হঠাৎ আলোড়ন তুলে আচমকাই নিভে যাওয়ার স্বভাব নেই তার। তার স্বভাব একটু ভিন্ন মেজাজের। গান গেয়ে বাজারে হই চই ফেলে দিতে হবে, এমনকি টাকা উপাজর্ন করতে হবে এমন মনোভাবও কখনো ছিল না তার। তার গানের ভঙ্গি ও গান গাওয়ার ভঙ্গিমাও অনেকটা আলাদা ঘরনার। তাই তো নিজস্ব স্বকীয়তায় অনেকটা বহতা নদীর মতই এগিয়ে চলছেন তিনি।
এক এক করে ক্যারিয়ারের ২২টি বছর পার হলো। এই লম্বা সফরে তার সম-সাময়িক বা অনেকেই গান নিয়ে লম্বা রেসের দৌড়ে থমকে গেছেন। কিন্তু সপ্রতিভা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে এখনো সুনাম ও সম্মানের সঙ্গে টিকে আছেন মেহরীন মাহমুদ। মঞ্চ, পরিবার এমনকি মানবতার সেবা সবের্ক্ষত্রেই তিনি একই রকম। যা করেন মন ভালোলাগা, ভালোবাসা, দায়িত্ববোধ থেকে করেন। তাই তো কোনো কিছু থেকে প্রাপ্তি খোঁজেন না। খোঁজার চেষ্টাও করেন না।
সুরের জাদুতে অসংখ্য মানুষের হৃদয় জয় করেছেন বাংলাদেশের পপ গানের শিল্পী মেহরীন মাহমুদ। জনপ্রিয় এ শিল্পীর জন্মদিন আজ (৩০ অক্টোবর)।
গানের পাশাপাশি উপস্থাপনায়ও তার বেশ সুনাম রয়েছে। মেহরীন ১৯৯৩ সাল থেকে শুরু করে অদ্যবধি পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন মিডিয়াতে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন।
মেহরীন ১৯৯৪ সালে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং সঙ্গীতে তার প্রথম অ্যালবাম আনারি ২০০০ সালে প্রকাশিত হয়। এরই মধ্যে ক্যারিয়ারের দুই যুগ পার করেছেন তিনি। এই লম্বা সফরে তার সম-সাময়িক বা অনেকেই গান নিয়ে লম্বা রেসের দৌড়ে থমকে গেছেন। কিন্তু সপ্রতিভা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে এখনো সুনাম ও সম্মানের সঙ্গে টিকে আছেন মেহরীন মাহমুদ।