সঞ্জীবের গান-কবিতা সমগ্র বের হচ্ছে জন্মদিনে

কাব্যময় সংগীত ও ফিচার সাংবাদিকতার অন্যতম ‘চৌধুরী’ ছিলেন সঞ্জীব। ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর তার জন্মদিন (২৫ ডিসেম্বর) ঘিরে আয়োজন হচ্ছে ‘সঞ্জীব উৎসব’। টিএসসিতে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে এবার হচ্ছে উৎসবের দশম আয়োজন। যাতে অন্যতম উপহার হিসেবে থাকছে গ্রন্থ প্রকাশ।

আয়োজনে করছে ‘সঞ্জীব উৎসব উদযাপন পর্ষদ’। এবারের উৎসবে প্রকাশ হতে যাচ্ছে সঞ্জীব চৌধুরীর গান-কবিতা সমগ্র ‘তোমাকেই বলে দেবো’। জয় শাহরিয়ারের সংকলন ও সম্পাদনায় প্রকাশিতব্য বইটিতে সঞ্জীব চৌধুরীর প্রকাশিত সব লিরিক স্থান পেয়েছে এক মলাটে। বইটি প্রকাশ করছে আজব প্রকাশ।

এবারের উৎসবে ১০ রকমের পরিবেশনায় গান করবেন শুভযাত্রা, জয় শাহরিয়ার, সাবকনশাস, বে অব বেঙ্গল, সাহস মোস্তাফিজ, লালন মাহমুদ, সুহৃদ স্বাগত, দুর্গ, ইন্ট্রোয়েট ও বিস্কুট।

সঞ্জীব উৎসবের অন্যতম আয়োজক সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘দেখতে দেখতে ১৪ বছর হয়ে গেলো সঞ্জীব দা নেই। উৎসবেরও দশ বছর পেরিয়ে গেলো। সঞ্জীব উৎসব দাদাকে ভালোবেসেই করা। এ উৎসবের মূল উদ্দেশ্য যারা দাদাকে কাছে পায়নি, তাদের কাছে তার গান ও দর্শন পৌঁছে দেওয়া।’

এ আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি এবং আজব কারখানা। ২৫ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় শুরু হবে এই আয়োজন। থাকছে সবার জন্য উন্মুক্ত।

আমি তোমাকেই বলে দেবো, রঙ্গিলা, সমুদ্র সন্তান, জোছনা বিহার, তোমার ভাঁজ খোলো, চাঁদের জন্য গান, স্বপ্নবাজি প্রভৃতি কালজয়ী গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সঞ্জীব চৌধুরীর নাম। গাড়ি চলে না, বায়োস্কোপ, কোন মিস্তরি নাও বানাইছে শিরোনামের গানগুলো গেয়ে বাংলা লোকগানকে তিনি নাগরিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত করেছেন।

তিনি ছিলেন ‘দলছুট’ ব্যান্ডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ব্যান্ডটির চারটি অ্যালবামে কাজ করার পাশাপাশি অনেক গান রচনা ও সুর দিয়েছেন তিনি। ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে জন্ম নেন এই শিল্পী।

২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর বাইলেটারেল সেরিব্রাল স্কিমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সংগীত ও সাংবাদিকতার অন্যতম চৌধুরী- সঞ্জীব।

বাংলা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

17 − three =