সমন্বিত উদ্যোগই পারে ঢাকা শহরের তাপমাত্রা কমাতে: চিফ হিট অফিসার

বুধবার (৪ অক্টোবর)  প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর কনফারেন্স হলে, বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডিজিনাস নলেজ (বারসিক) এর যৌথ আয়োজনে “শহরাঞ্চলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি: কারণ ও করণীয়” শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর সহ-সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম শহীদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে উক্ত গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন। বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডিজেনাস নলেজ (বারসিক) এর পরিচালক পাভেল পার্থ সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাড্রিয়েন আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টার বাংলাদেশ এর চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন এবং স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর ইমেরিটাস প্রফেসর অধ্যাপক ড. এম ফিরোজ আহমেদ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অ্যাড্রিয়েন আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টার বাংলাদেশ এর চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন বলেন,  উচ্চ তাপমাত্রা মানুষের শারিরিক মানষিক অসুস্থতা বৃদ্ধি করছে। এলনিনো আসতেই থাকবে এবং এবছরের তুলনায় পরবর্তী বছরের গ্রীষ্মকাল আরও বেশি উত্তপ্ত হতে পারে। আমরা প্ল্যান করছি সিটি নেটওয়ার্ক গড়ার, ক্লাইমেট মাইগ্রেশন নিয়ে কাজ করছি। আমাদেরকে যতটুকু সম্ভব অ্যাডাপটেশন করতে হবে এবং মিটিগেশনের উপায় গুলো খুজে বের করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন, গ্লোবাল ওয়ার্মিং মত এই জটিল প্রাকৃতিক সমস্যাকে মোকাবেলা করার জন্য আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সমন্বিত উদ্যোগই পারে ঢাকা শহরের তাপমাত্রা কমাতে।

প্রধান অতিথির বক্তবে সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন, এমপি সময়োপযোগী গোলটেবিল বৈঠক আয়োজনটিকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, আমাদের সকলকে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করতে হবে। এর জন্য সরকারের পাশাপাশি জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আশ্বস্থ করে বলেন, শহরের তাপমাত্রা কমাতে নীতিগতভাবে যেসব উদ্যোগ প্রয়োজন তার জন্য সংসদে তিনি কথা বলবেন বলবেন।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর সহ-সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম শহীদুল ইসলাম বলেন, যে প্রক্রিয়ায় আমরা বর্তমান অবস্থায় এসে পৌঁছেছি আমাদেরকে আবার সেই প্রক্রিয়ায় পূর্বের অবস্থানে ফিরে যেতে হবে। গাছ কাটলে তার পরিবর্তে গাছ লাগাতে হবে। জলাধার গুলোকে সংরক্ষণ করতে হবে। বর্তমানে আশার আলো জাগিয়েছে ছাদ বাগান সেক্ষত্রে সকলকে ছাদ বাগানের জন্য উৎসাহী করতে হবে।

গোলটেবিল বৈঠকের মূল বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য বৈশ্বিক অনেকগুলো কারণ থাকলেও স্থানীয় কারণগুলো মুখ্য। তাই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে স্থানীয় কারণগুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে। তিনি ঢাকা শহরের এই ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যে সুপারিশ গুলো করেন, তা হলো ১। গাছপালা সরাসরি তাপ এবং কার্বন নির্গমন হ্রাস করে তাই শহরের প্রতিটি ফাঁকা স্থানে গাছ লাগাতে হবে এবং ছাদ বাগান বৃদ্ধি করতে হবে, ২। রাস্তার বিভাজনে শোভাবর্ধনকারী গাছ ছাড়াও ভূমির ধরণের ভিত্তিতে উদ্ভিদ, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন রকম উপকারী বৃক্ষ যেমন ফলজ, বনজ, ঔষধী রোপণ করতে হবে, ৩। উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য গাছ নিধন নয় বরং গাছকে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে, যেমনটি উন্নত দেশগুলোতে হয়ে থাকে। যে উন্নয়নটি বাধ্যতামূলক সেখানে পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে গাছ স্থানান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে। একান্তই গাছ স্থানান্তর সম্ভব না হলে প্রত্যেকটি গাছের বায়োমাস ও ইকোলজিক্যাল ভ্যালু মূল্যায়ন করে নতুন করে বৃক্ষায়ন করতে হবে, ৪। ঢাকায় জলাধারের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে ও দখলকৃত জলাধার ও জলাভূমি উদ্ধার করতে হবে, ৫। বিভিন্ন পৃষ্ঠ যা তাপমাত্রা ধারণ করে যেমন-রাস্তা, বিল্ডিং ও স্থাপনার ছাদ, দেওয়াল, ছাদ এবং যানবাহন ইত্যাদিতে আলো ও তাপ প্রতিফলন করে রং করতে হবে, ৬। BNBC মেনে অবকাঠামো নির্মাণের সময়ও সচেতন হতে হবে এবং একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ভবন নির্মাণ করতে হবে, ৭। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং শহরাঞ্চল থেকে মানুষের আধিক্যতা কমাতে হবে, ৮। জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং এর পরিবর্তে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। সর্বোপরি সবাইকে এই তাপ প্রবাহ কমানোর লক্ষ্যে একযোগে কাজ করে যেতে হবে, ৯। চরম গরমের সময় ব্যস্ততম এলাকা গুলোতে বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি অবলম্বন করে পানি ছিটানো যেতে পারে, এতে বায়ুদূষণও কমে যাবে তাহলে শহরের তাপ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে এবং ১০। এসির ব্যবহার কমিয়ে মেকানিক্যাল ও প্রাকৃতিক ভেন্টিলেশন পদ্ধিতিতে বিল্ডিং এর তাপ নিয়ন্ত্রন করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর ইমেরিটাস প্রফেসর অধ্যাপক ড. এম ফিরোজ আহমেদ বলেন, ডেভলপমেন্ট আমাদের জন্য জরুরী কিন্তু আমারা শহরে যে ডেভলপমেন্ট করছি সেখানে পরিবেশ রক্ষায় বিষয়টি মাথায় রাখছি না, তাই অনেকাংশেই ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করেই আমাদেরকে ডেভলপমেন্ট করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) এর আবহাওয়াবিদ এস. এম. কামরুল হাসান বলেন, পৃথিবী তার নিজস্ব প্রাকৃতিক নিয়মে একবার উত্তপ্ত হয় আবার আবাস শীতল হয়। তবে কিছু মানুষ সৃষ্ট কারনে পৃথিবী উত্তপ্ত হচ্ছে। এখন বাংলাদেশে প্রায়ই এলনিনো দেখা যাচ্ছে এবং এভাবে এলনিনো বৃদ্ধি পেতে থাকলে বাংলাদেশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। তাই সর্বপ্রথম আমাদেরকে নিজেদের মানসিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। সর্বস্তরের মানুষদেরকে একযোগে কাজ করতে হবে।

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, বর্তমান সময়ে যে সকল সৌন্দর্য বর্ধনকারী দালান নির্মাণ করা হচ্ছে তার অধিকাংশ দেয়ালই কাচের তৈরি যা শহরের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। এক্ষত্রে প্রতিটি উন্নয়ন কার্যক্রমের পূর্বে আমাদেরকে জনস্বাস্থ্য নিয়ে ভাবতে হবে এবং সে অনুযায়ী আমাদেরকে পদক্ষেপ নিতে হবে ।

গ্রীন সেভারস এর প্রতিষ্ঠাতা আহসান রনি বলেন, ঢাকা শহরে যদি গাছকে বাঁচিয়ে রাখা যায় তাহলে, এটি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে অনেক বড় ভূমিকা পালন করবে। এই শহরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদেরকে টেকসই উন্নয়ন ব্যবস্থা করতে হবে।

কোয়ালিশন ফর দ্য আরবান পুওর (কাপ) এর নির্বাহী পরিচালক রেবাকা সান-ইয়াত বলেন, শহরের এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বস্তিবাসীরা। শহরের তাপমাত্রা বাড়ার অন্যতম কারণ অনিয়ন্ত্রিত সংখ্যার গাড়ি চালানোর সুযোগ দেওয়া, আরেকটি হচ্ছে বর্জ্য পদার্থের অব্যবস্থাপনা। এই বিষয়গুলো সমাধানের জন্য সরকারকে দ্রুত নজর দিতে হবে।

ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের (ডব্লিউবিবি) পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, আমরা কংক্রিটের শহর চাইনা, চাই বাসযোগ্য শহর তার জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, প্রাণ প্রকৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে নগর পরিকল্পনা করা। অসুস্থতা নয় চাই সুস্থতা এবং এক্ষেত্রে নীতি নির্ধারকদেরকে নাগরিক অধিকার নিয়ে ভাবতে হবে।

একশন এইড এর ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, তাপমাত্রা এই বৃদ্ধি প্রতিরোধের জন্য আমাদেরকে জীবাশ্ম জ্বালানি কমিয়ে এনে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের ডেভলপমেন্ট কার্যক্রম করার সময় আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ বা উন্নত দেশগুলোর মত করে করতে চাই কিন্তু আমাদেরকে প্রকৃতপক্ষে এটি অনুধাবন করা জরুরী যে প্রত্যেক দেশের পরিবেশ ও ভূতাত্ত্বিক বিষয়গুলো ভিন্ন।

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদা পারভীন বলেন, আমাদেরকে গবেষণার মাধ্যমে টেকসই সমাধান বের করে নিয়ে আসতে হবে। ছাদ বাগান বৃদ্ধির পাশাপাশি ঢাকা শহরের ফাঁকা স্থানগুলোতে অধিক পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করতে হবে।

পরিবেশ উদ্যোগ এর গবেষণা সমন্বয়ক ইঞ্জি. নাছির আহম্মেদ পাটোয়ারী বলেন, বায়ু প্রবাহ আবহাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, বায়ু প্রবাহের যেকোন অঞ্চলের তাপমাত্রা কমতে সাহায্য করে। বর্তমানে ঘন-গিঞ্জি সু-উচ্চ দালানকোঠার কারনে ঢাকা শহর বায়ুপ্রবাহ বাধা পাচ্ছে। ঝড়োহাওয়া ছাড়া ঢাকায় স্বাভাবিক বাতাস পাওয়া দুরুহ হয়ে পড়েছে। যদি BNBC মেনে প্রতিটি ভবনের মাঝে ফাকা স্থান রাখা যেত তবে স্বাভাবিক বায়ুপ্রবাহ পাওয়া যেত এবং ঢাকার তাপমাত্রা কমে যেত।

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র লেকচারার এবং ক্যাপস এর সহকারী পরিচালক মাহমুদা ইসলাম; প্রকৃতিকে বুঝে নগরায়ন পরিকল্পনা করতে হবে। শহরের শুষ্ক কঠিন তলের পরিমাণ কমিয়ে উন্মুক্ত পৃষ্ঠতল বাড়াতে হবে। শুধু অ্যাডাপটেশন না মিটিগেশন নিয়েও কাজ করতে হবে। তবে সম্ভব হবে পরবর্তী প্রজন্মকে একটি মানবিক শহর উপহার দেয়া।

ক্যাপস এর সায়েন্টিফিক অফিসার ইঞ্জি. মারজিয়াত রহমান বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি বাসযোগ্য পৃথিবী উপহার দিতে হলে গবেষকদেরকে এবং তরুণদেরকে কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে।

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের লেকচারার মো. হুমায়ুন কবির বলেন, নগরায়ন ও ভৌত অবকাঠামো নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত। আর পৃথিবীব্যাপী নগরে অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ ও ভূমির ব্যবহার, জীবাশ্ম জ্বালানি ভিত্তিক যানবাহন ব্যবহার বৃদ্ধি ও সর্বোপরি শহরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের জীবনাচরণ শহরাঞ্চলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাই, নগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধে যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও ইতিমধ্যেই প্রণীত পরিকল্পনার বাস্তবায়ন অতীব জরুরী।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে, বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডিজিনাস নলেজ (বারসিক) এর সমন্বয়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বর্ধিত তাপমাত্রার ফলে বেশী ভুক্তভোগী হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ, যাদের বেশীরভাগই থাকেন টিনশেড এবং বস্তি এলাকায়। প্রচন্ড গরমে অট্টালিকার মানুষজন কংক্রিটের ছাদের নিচে এসির বাতাস উপভোগ করতে পারলেও নিম্ন আয়ের মানুষ কাছে সেই সস্তি নেই।

উক্ত গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) এর জেন্ডার বিশ্লেষক রোমানা আফরোজ দিপ্তি, এছাড়াও ক্যাপস গবেষণা সহকারী, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডিজিনাস নলেজ (বারসিক) এর প্রতিনিধিগণ সহ অন্যান্য পরিবেশবাদী সংস্থার সদস্যবৃন্দ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

five + 11 =