সাংস্কৃতিক জোটে গোলাম কুদ্দুছ আবারও সভাপতি, সম্পাদক আহকাম উল্লাহ

আট বছর পর সম্মেলন হলেও অনুমিত কমিটিই এল সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটে। শুক্রবার দিনব্যাপী সম্মেলনের মধ্য দিয়ে গোলাম কুদ্দুছকে আবারও সভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আহ্কাম উল্লাহকে সাধারণ সম্পাদক করে ১০১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

সামরিক শাসনামলে রাজনৈতিক সংগ্রামের পরিপূরক হিসেবে সংস্কৃতিকর্মীদের তৎপরতায় গড়ে উঠেছিল সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। তবে প্রতিবাদী সেই কণ্ঠ এখন স্তিমিত বলে অভিযোগ রয়েছে সংস্কৃতিকর্মীদের মধ্যে। প্রতিষ্ঠার পর সাংস্কৃতিক জোটের কমিটি কখনোই ব্যালটে হয়নি, এবারও তাই হয়েছে।

সভাপতি মনোনীত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় গোলাম কুদ্দুছ  বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে মূল চ্যালেঞ্জ। দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক হামলায় যারা দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে নষ্ট করছে, তাদের বিরুদ্ধে সংস্কৃতিকর্মীদের নিয়ে লড়াই অব্যাহত রাখবে জোট। পাশাপাশি সংস্কৃতিকর্মী এবং গণমানুষের অধিকার আদায়ে সরব থাকবে সাংস্কৃতিক জোট।“

ভারপ্রাপ্ত থেকে সাধারণ সম্পাদক হওয়া আহকাম উল্লাহ  বলেন, “দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক জাগরণ তৈরি করতে হবে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর সারাদেশের সংস্কৃতিকর্মীদের নিয়ে আমরা জাতীয় সংস্কৃতি সমাবেশ করব। এর মধ্যে দিয়ে আমরা সমাজে সম্প্রীতির বার্তা দেব। এছাড়া বছরব্যাপী নানা রকম কর্মসূচি পালন করা হবে।”

সংস্কৃতির সব শাখার কর্মীদের নিয়েই নতুন কমিটি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এই কমিটি আন্দোলন-সংগ্রামে সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিবাদী রূপকে এগিয়ে নেবে৷ মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার থাকবে।”

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, “রাষ্ট্র সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে, আর সমাজ সাম্প্রদায়িকতায় ডুবে যাচ্ছে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার পথে এই সংকট থেকে উত্তরণের উপায় কী? আমাদেরকে এটা নিয়ে ভাবতে হবে।

“আমরা সরকারের কাছে ৪০০ উপজেলায় উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক মঞ্চ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম, সেটা হয়নি। শিল্পকলায় আধুনিক মঞ্চ হয়েছে আটটি জেলায়। এখন সেই মঞ্চ কত টাকায় নির্মাণ করা হয়েছে; সেখানে এসি, বিদ্যুৎ বিল কত খরচ হয়- তার নিরিখে যদি মিলনায়তন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়- তবে সেটি তো সংস্কৃতিকর্মীরা ব্যবহার করতে পারবে না। সাংস্কৃতিক সংগঠনের জন্য মিলনায়তন ফ্রি করে দিতে হবে।”

শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটানো ‘জরুরি’ মন্তব্য করে মফিদুল হক বলেন, “স্কুল-কলেজে যে সাংস্কৃতিক উপকরণ দেওয়া হয়েছে, তার সুষ্ঠু ব্যবহার করা হচ্ছে কি না তার নজরদারি বাড়াতে হবে।”

বিডিনিউজ

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

1 × 1 =