সাকিবই টেস্ট অধিনায়ক হলেন

বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক হলেন সাকিব আল হাসান। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অবশেষে গুঞ্জনই সত্যি হলো, ৩ বছর পর তৃতীয়বারের মতো সাদা পোশাকের ক্রিকেটের নেতৃত্ব উঠল ৩৫ বছর বয়সী অলরাউন্ডারের হাতে। সহ-অধিনায়ক হিসেব দায়িত্ব পেয়েছেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস।

গত মঙ্গলবার টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন মুমিনুল। নিজের ব্যাটিংয়ের দিকে মনোযোগ দিতে এই সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি। দেশের মাটিতে লঙ্কানদের বিপক্ষে টাইগাররা সিরিজ হারের পর মুমিনুলের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়। এই সিরিজে হাসেনি তার ব্যাট। গত সাত ইনিংসে দ্বিতীয় অঙ্কের রানও পেরোতে পারেননি মুমিনুল।

সব শঙ্কা উড়িয়ে ফের টেস্ট নেতৃত্বে ফিরলেন সাকিব। ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ অধিনায়কত্ব করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। জুয়াড়িদের দেওয়া প্রস্তাব গোপন রাখার অভিযোগে একই বছর সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে নেতৃত্ব হারিয়েছিলেন তিনি। সে সময় টাইগারদের টেস্ট অধিনায়ক হন মুমিনুল।

২০০৯ সালে ক্যারিবিয়ান সফরে মাশরাফি বিন মর্তুজার সহ-অধিনায়ক ছিলেন সাকিব। সেবারই তার সুযোগ হয় দলকে  নেতৃত্ব দেওয়ার। সিরিজের প্রথম টেস্টে মাশরাফি চোটে পড়লে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করা হয় সাকিবকে। পরের সিরিজ থেকে নিয়মিত অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু দেশসেরা অলরাউন্ডারের।

তবে ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরের পর নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সাকিবকে। এর ৭ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো টেস্ট অধিনায়ক হক তিনি। সেবার মুশফিকুর রহিমের পরিবর্তে নেতৃত্বে আসেন সাকিব।

দেশ রূপান্তর

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

eighteen − fourteen =