সাগরিকায় শুরু হোক ঘুরে দাঁড়ানোর মিশন

সালেক সুফী

৩০৭/২ দাপুটে অবস্থান থেকে আজ চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিতীয় দিনে খেলতে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা। নতুন দিন নতুন সকালে চক  চকে নতুন লাল বল নিয়ে শুরু করবে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান টনি ডি জার্জি (১৪১*) এবং ডেভিড বেডিংহাম (১৮*) নতুন ভাবে শুরু করবে। শুরুর এক ঘন্টাধ সঠিক লাইন লেংথে বোলিং এবং নিখুঁত ফিল্ডিং করে বাংলাদেশ যদি ২-৩ টি উইকেট ঝট ফট তুলে নিয়ে চাপ সৃষ্টি করতে পারে তাহলে এখনো অতিথি দলকে ৪০০-৪২০ রানে সীমিত রাখা সম্ভব। আর যদি দক্ষিণ আফ্রিকা ভালো ব্যাটিং করে ৫০০র বেশি করে ফেলে থামলে এই টেস্ট থেকে বাংলাদেশ ছিটকে পড়বে। তাহলে টেস্ট বা ধবল ধোলাই রক্ষা দূরের কথা ইনিংস পরাজয় এড়াতে যুদ্ধ করতে হবে বাংলাদেশকে। কাল কিন্তু পরিশ্রান্ত এবং ক্র্যাম্প আক্রান্ত জার্জিকে বিচক্ষণতার সঙ্গে বোলিং করে ঘায়েল করতে পারে নি বাংলাদেশ। উল্টো দুই দুই বার সহজ সুযোগ মিস করে ওকে তৃতীয় জীবনে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে। বাংলাদেশকে কেন এই ম্যাচে অভিষিক্ত অনভিজ্ঞ মেহেদী ইসলাম অঙ্কনকে উইকেট রক্ষার গুরু দায়িত্ব দেয়া হলো। দলের বিশেষ অবস্থায় মুশফিক কি এই কাজটি করতে পারতো না? অভিষিক্ত তরুনের স্নায়ুর চাপ থাকতেই পারে। ভেবে দেখুন ৬ রানে জার্জি ফিরে গেলে সম্পূর্ণ দৃশ্যপট পাল্টে যেতে পারতো। যাহোক যেটি হয় নি সেটি ভেবে কি লাভ? আজ যেন বাংলাদেশ আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে বোলিং, ফিল্ডিং করে। আবার ৪০০-৪৫০ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শেষ হবার পর যেন পরিকল্পনা করে সেশন বাই সেশন বলের গুনাগুন বিবেচনা করে ব্যাটিং করে। দায়িত্ব নিতে হবে মোমিনুল এবং মুশফিককে। চাপ মুক্ত থেকে নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলতে হবে নাজমুল শান্ত, মেহেদী মিরাজকে। কাল এই উইকেটে যেভাবে নিজেদের প্রয়োগ করে খেলেছে জর্জি -স্তাব সেটি থেকে দীক্ষা নিতে হবে। আতংকের কিছু নেই। হারাবারও কিছু নেই এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটের। এখন নতুন দিনে নতুন করে শুরু হোক ঘুরে দাঁড়ানোর কঠিন মিশন। দিনটা অন্তত ভাগাভাগি করুক দুটি দল।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

1 × four =