সাদাত রাসেলের ‘নিখোঁজ’ নাটকে মুশফিক-মাহি

ময়না নিখোঁজ। সবজি বিক্রেতা সবুর মিয়ার কন্যা ময়নাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সকাল থেকে। এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। মেয়েকে হারিয়ে সবুর পাগলপ্রায়। মা শিউলি বেগম বারবার মূর্ছা যাচ্ছে। মেয়ের খোঁজে ফকির, মাজার, পানি পড়া—কিছুই বাকি রাখে না শিউলি।

পুলিশের দ্বারস্থ হয় সবুর-শিউলি দম্পতি। তবু খোঁজ মেলে না ময়নার। উল্টো পুলিশ কর্মকর্তা মোসলে উদ্দিন নানাভাবে হেনস্তা করে সবুরকে। এমন গল্প নিয়ে সাদাত রাসেল বানিয়েছেন নাটক ‘নিঁখোজ’। সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ঘরানার এ গল্প দিয়ে অনেক দিন পর নির্মাণে ফিরেছেন সাদাত।

‘ম্যাজিক ও আফ্রোদিতি’, ‘পঙ্খিরাজ’, ‘কে তুমি’, ‘দুষ্টু কুটুম’, ‘রূপকথা’, ‘সমুদ্রের নীল রাত্রি’, ‘প্রণয় এবং রমনী’, ‘সেনোরিতা’সহ অনেক নাটকের এ নির্মাতা ও চিত্রনাট্যকার নিরীক্ষাধর্মী গল্প নিয়ে কাজ করতেই বেশি ভালোবাসেন। নিখোঁজ গল্পেও সে ছাপ থাকবে বলে জানিয়েছেন সাদাত।

নিখোঁজ নাটকে সবুর মিয়া চরিত্রে আছেন মুশফিক ফারহান ও শিউলি চরিত্রে সামিরা খান মাহি। এ ছাড়া বিভিন্ন চরিত্রে দেখা যাবে জয়রাজ, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, সিকদার মুকিত ও পারভেজ সুমনকে। নির্মাতা জানিয়েছেন, গল্পটি প্রাথমিকভাবে সরল মনে হলেও এর গভীরে আছে অনেক স্তর। বড় অঙ্কের ঋণের চাপে পিষ্ট সবুর।

মাঝে মাঝে ব্যবসার পাশাপাশি এক ডেকোরেটরের দোকানে কাজ করে। পাওনাদারের টাকা শোধ করার জন্য একদিন ক্যাশ থেকে অনেক টাকা সরায়। ধরা খেয়ে উপর্যুপরি প্রহারের শিকার হয়। ঋণ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সবুর ও শিউলি নানা ধরনের পরিকল্পনা করতে থাকে।

নির্মাতা সাদাত রাসেল বলেন, ‘সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে নাটকটি। এটা আসলে সারভাইভাল স্টোরি, আবার কিছুটা সাইকোপ্যাথ। এ গল্পে উঠে আসবে পুঁজিবাদ কীভাবে মানুষকে সাইকোপ্যাথ করে দেয়। বেঁচে থাকাই এখন যুদ্ধ, বেঁচে থাকার জন্য মানুষ যেকোনোভাবেই হোক অর্থ উপার্জনে উৎসাহিত।

সম্মান, ভালো-মন্দ, অসততা কোনো ইস্যুই নয়। যার কাছে অর্থ আছে, সে-ই এখন সম্মানিত। নিরীক্ষাধর্মী গল্পটি তুলে আনার জন্য ফারহান ও মাহি দুর্দান্ত ডেডিকেটেড ছিল।’ নির্মাতা জানিয়েছেন, দীপ্ত টিভির ঈদের অনুষ্ঠানে প্রচারিত হবে নিখোঁজ নাটকটি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

fourteen − seven =