সানি লিওনি শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশেষ একটি ফ্লাইটে মুম্বাই থেকে তিনি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন বলে বিমানবন্দরে কর্মরত পুলিশ বিশেষ শাখার কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানা গেছে।
জানতে চাইলে পুলিশের ডিআইজি (ইমিগ্রেশন) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “উনি (সানি) কিছুক্ষণ আগেই বাংলাদেশে পৌঁছেছেন। উনার পাসপোর্ট ও ভিসায় কোনো সমস্যা নেই।”
নিজের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজেও বাংলাদেশে পৌঁছার খবর জানিয়েছেন এই বলিউড অভিনেত্রী। বিকালের পর দুটি ছবি তিনি দিয়েছেন ফেসবুকে। প্রথমটিতে লিখেছেন- ‘সুন্দর এই দেশটিতে আসতে পেরে আমি ভীষণ খুশি’।
আরেক ছবিতে তার সঙ্গে গান বাংলা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপসকেও দেখা গেছে। তবে তাপসের কোনো বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। গান বাংলার একজন কর্মকর্তা বলেন, সানি লিওনি কোন কাজে ঢাকায় এসেছেন, তা তিনি জানেন না।
‘সোলজার’ নামে একটি বাংলাদেশি সিনেমার শুটিংয়ের জন্য সানি লিউনির এবারের সফরের সূচি ছিল। সিনেমাটি প্রযোজনা করছে চেয়ারম্যান ফিল্ম সিন্ডিকেট।
সানি লিওনির ঢাকায় আসার খবরে প্রযোজক সেলিম খান বলেন, “আমাদের সিনেমার কাজে তিনি ঢাকায় আসেননি; কী কাজে এসেছেন তা আমার জানা নেই।” এই সিনেমায় সানি লিওনির শুটিংয়ের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অনুমতিও নিয়েছিল প্রযোজনা কর্তৃপক্ষ।
তবে বৃহস্পতিবার তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ তার ভিসা বাতিলের খবর জানান। এরপর শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘পরিচয় লুকিয়ে ভিসার আবেদন করায়’ সানি লিওনিকে ঢাকায় আসার অনুমতি বাতিল করা হয়েছে।
সোলজার ছাড়া অন্য কোনো কাজে সানি লিওনি ওয়ার্ক পারমিট পেয়েছেন কি না, তা জানতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজান উল আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।
সানি লিওনি হিসেবে বড়পর্দায় পরিচিতি এ অভিনেত্রীর আসল নাম করনজিৎ কর ওয়েভার; সেই নামেই শুটিংয়ের অনুমতি চেয়ে তার যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টে আবেদন করেছিল চেয়ারম্যান ফিল্ম সিন্ডিকেট।
তথ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত জানানোর পর চেয়ারম্যান ফিল্ম সিন্ডিকেটের চেয়ারম্যান সেলিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, তিনি সিনেমাটি আর নির্মাণই করবেন না। এই সিনেমার পরিচালক হিসেবে নাম রয়েছে শামীম আহমেদ রনির।
দেশি চলচ্চিত্রে বিদেশি অভিনয় শিল্পীদের অংশগ্রহণসংক্রান্ত নীতিমালা ২০২০ (সংশোধিত) অনুযায়ী বাংলাদেশের কোনো সিনেমায় বিদেশি শিল্পীদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) আবেদন জানায় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান; এফডিসির সুপারিশের ভিত্তিতে বিদেশি শিল্পীদের ‘ওয়ার্ক পারমিট’ দেওয়া হয়।
বিডিনিউজ