সাফে মালদ্বীপকে ২০ বছর পর হারালো বাংলাদেশ

মালদ্বীপের বিপক্ষে রবিবার দ্বিতীয় ম্যাচ বাংলাদেশের জন্য ছিল অলিখিত ফাইনাল। এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও দারুণ প্রত্যাবর্তনে তিন পয়েন্ট আদায় করলো হাভিয়ের কাবরেরার দল। ৩-১ গোলে মালদ্বীপকে হারিয়ে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখলো বাংলাদেশ। ২০০৩ সালে ঢাকার সাফে মালদ্বীপকে শেষবার হারিয়েছিল বাংলাদেশ।

বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তীরাভা স্টেডিয়ামে আজ সুযোগ হয়নি দুই ফরোয়ার্ড মজিবর রহমান জনি ও সুমন রেজার। তাদের জায়গায় মিডফিল্ডার মোহাম্মদ হৃদয় ও রাকিব হোসেন একাদশে জায়গা পান।

৪-৪-২ ছকে ম্যাচের বড় অংশজুড়ে বাংলাদেশ বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণে এগিয়ে ছিল। একের পর এক লম্বা থ্রো ইন ও কর্নার পেয়ে প্রতিপক্ষকে চমকে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তাতে সুযোগও এসেছিল। কিন্তু ম্যাচঘড়ির ৬ মিনিটে মোহাম্মদ সোহেল রানার রক্ষণচেড়া পাসে বলের নাগাল পাননি রাকিব। ১১ মিনিটে জামালের কর্নারে মোহাম্মদ সোহেল রানার হেড গোলকিপার তালুবন্দি করলে হতাশ হতে হয়েছে।

১৮ মিনিটে মালদ্বীপ খেলার ধারার বিপরীতে গোল করে এগিয়ে যায়। আলী ফাসিরের পাসে হামজা মোহাম্মদ বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে গোলকিপার জিকোকে পরাস্ত করেছেন। বাংলাদেশি কিপার বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও অল্পের জন্য বলের নাগাল পাননি। গোল খেয়ে সমতায় ফেরার চেষ্টা করতে থাকে বাংলাদেশ।

২৫ মিনিটে জামালের কর্নারে তপুর হেড ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে যায়। ৩৩ মিনিটে সোহেল রানার কর্নারে তপুর হেড গোললাইন থেকে সেভ করেছেন হুসেন নিহান। পেনাল্টির আবেদন করলেও রেফারি তাতে সাড়া দেননি। শেষ পর্যন্ত ৪২ মিনিটে সফল হয় বাংলাদেশ, ফেরায় সমতা। সোহেল রানার ক্রসে রাকিব শূন্যে লাফিয়ে জাল কাঁপান হেড করে।

বিরতির পর বাংলাদেশের আক্রমণ অব্যাহত থাকে। তিনটি পরিবর্তন করে কাবরেরা চমক দেওয়ার চেষ্টা করে সফলও হন। জামালের জায়গায় মোরসালিন, সোহেল রানার জায়গায় মজিবর রহমান জনি ও রাকিবের জায়গায় ইব্রাহিম নামেন। তাতে আক্রমণে চাপ বাড়ে।

৬৬ মিনিটে বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। মোহাম্মদ ইব্রাহিমের কর্নারে জটলার মধ্যে তারিক কাজী তিনবারের চেষ্টায় লক্ষ্যভেদ করেন। একটু পর ইব্রাহিমের কর্নারে মোরসালিনের জোরালো শট গোলকিপার এক হাত দিয়ে প্রতিহত করেন। তারিক চোট পেয়ে বাইরে গেলে তাতেও বাংলাদেশের রক্ষণে সমস্যা হয়নি।

বরং ৯০ মিনিটে তৃতীয় গোল করে মালদ্বীপকে পুরোপুরি ছিটকে দেয় বাংলাদেশ। বিশ্বনাথের পাসে মোরসালিন বক্সে বল পেয়ে একজনকে ডজ দিয়ে দারুণ শটে দলকে তৃতীয় গোল উপহার দেন। একটু পর হামজার জোরালো শট সাইড বারে লেগে ফিরে আসে।

বাংলাদেশের পরের ম্যাচ ভুটানের সঙ্গে ২৮ জুন। ম্যাচটি জিতলে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করবেন জামাল ভূঁইয়ারা। দুই মাচ শেষে ‘বি’ গ্রুপে সমান তিন পয়েন্ট বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের, তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় স্থানে লাল সবুজেরা। এক ম্যাচ কম খেলে একই পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লেবানন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

16 − 6 =